ঢাকা শনিবার, ১২ই এপ্রিল ২০২৫, ৩০শে চৈত্র ১৪৩১


চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ফেরি চলাচল তিন মাস ধরে বন্ধ; জনদুর্ভোগ চরমে


১৯ মার্চ ২০২৫ ২১:১৪

আপডেট:
১২ এপ্রিল ২০২৫ ০৬:৪৩

নাব্যতা সংকট দেখিয়ে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী-রৌমারী উপজেলা নৌরুটে ফেরি চলাচল প্রায় তিন মাস ধরে বন্ধ এটি কবে চালু হবে তার কোনো স্পষ্ট কোনো বার্তা বা লক্ষণই নেই। ফলে সরকারের লোকসানের পাশাপাশি জনভোগান্তি ও ব্যবসায়ীদের মালামাল পারাপারের কষ্ট চরমে উঠেছে।

ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় প্রায় প্রতি মাসে সাড়ে ১২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। পাশাপাশি ফেরির ইঞ্জিন ক্ষতির বড় ও নষ্টের মুখে পড়ছে।

চিলমারীর রমনা ঘাট থেকে রৌমারীর ফলুয়ার চর ঘাটের দূরত্ব প্রায় ২২ কিলোমিটার। এই নদী পথে পাড়ি দিতে নানা সমস্যায় পড়তে হতো এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের। দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান ঘটিয়ে ২০২৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়। এখন সেই ফেরি গত তিন মাস ধরে বন্ধ আছে।

দীর্ঘদিন ধরে ফেরি চলাচল না করায় বন্ধ থাকা রৌমারী ফেরিঘাট দিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের বালু ভর্তি ট্রাক্টর, ডাম্পার যাতায়াত করে নিয়মিত সে কারণে ঘাটটি নষ্ট হয়ে গেছে। এরমধ্যে ফেরি বন্ধ থাকায় আসন্ন ঈদুল ফিতর ঘরেফেরা মানুষের বাড়তি ভোগান্তি এবং বেশি অর্থ নষ্ট হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উত্তরাঞ্চলের যানবাহনগুলো ১৫০ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ পাড়ি দিয়ে যমুনা সেতু হয়ে ঢাকায় যাতায়াত করে। ফেরিটি রমনা ঘাট থেকে ফকিরেরহাট ঘাটে স্থানান্তর করা হলে অনেক কম সময়ে এ অঞ্চলের বাস, ট্রাক, ছোট গাড়িগুলো পারাপার করে অল্প সময়ে ঢাকা যাতায়াত করতে পারবে। এতে যানবাহনের সময় এবং জ্বালানি উভয় খরচ অনেকাংশে কমে যাবে। এছাড়া নাইট নেভিগেশন (বাতি) ব্যবস্থা চালু থাকলে রাতে ফেরি চলাচল করা সম্ভব হবে বলে জানায়।

ট্রাকচালক লোকমান হোসেন জানান, (ফকিরেরহাট) ঘাট দিয়ে ফেরি চলাচল করলে রোড়টি দূরত্ব অনেক কম হতো ও দিবারাত্রি চলাচল করতে পারলে উত্তরাঞ্চলের যাত্রীবাহী বাস, মালবাহী ট্রাক, ছোটগাড়িগুলো এই রুট ব্যবহার করে ঢাকায় চলাচল করতে সহজতর হতো। এই রুটের সমস্যা সমাধান করলে এ ফেরি উত্তরাঞ্চলের প্রধান প্রবেশদ্বার হিসেবে অনেকটা কাজ করবে মনে করেন।

বিআইডব্লিউটিসির চিলমারীর ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান বলেন, ২৩ ডিসেম্বর নাব্যতা সংকটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কদম এবং কুঞ্জলতা নামে দুটি ফেরি চলাচলের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত রাখা আছে। বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক নৌরুটের প্রয়োজনীয় সমস্যা সমাধান করলে ও তাদের নির্দেশ আসলে ফেরি সার্ভিস চলাচল সঙ্গে সঙ্গেই করা হবে।

বিআইডব্লিউটিএ'র উপপরিচালক শেখ রবিউল ইসলাম বলেন, ওয়াটার লেভেল না বাড়া পর্যন্ত ফেরি চলাচল করা সম্ভব যাবে না। কারণ প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে ফেরি চলাচল সম্ভব হচ্ছে না। তবে রৌমারীর ঘাট দিয়ে বালু যাওয়ার কারণে ঘাট নষ্ট হওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে যাতে নষ্ট না হয়।