ঢাকা মঙ্গলবার, ১১ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৯শে মাঘ ১৪৩১


কুড়িগ্রাম, চিলমারী-রৌমারী রুটে বন্ধ ফেরি চলাচল; ট্রাক বোঝাই মালামাল ও যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ


২১ জানুয়ারী ২০২৫ ১২:২২

আপডেট:
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০১:৪৩

চিলমারী-রৌমারী রুটে ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্য সংকটের কারণে গত ২৯ দিন ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। নদীর গভীরতা না থাকায় ও পানির পরিমান কমে যাওয়ায় এই রুটে ফেরি সার্ভিস চালু রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ছে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

কুড়িগ্রাম, বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানা যায়, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর পানির গভীরতা না থাকার কারণে ফেরি সার্ভিস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক পর্যায় ড্রেজিং কার্যক্রম চালিয়ে ফেরি চলাচল চালু রাখার চেষ্টা করা হয়। নদী গর্ভে অতিরিক্ত পলি জমার কারণে ড্রেজিং কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।

কুড়িগ্রাম চিলমারী-রৌমারী রুটের নদীপথে এই ফেরি সার্ভিস চালু থাকলে জামালপুর, ময়মনসিংহ এবং রাজধানী ঢাকার সাথে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোর সহজ যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। উত্তরবঙ্গের কৃষদের কৃষি পণ্য পরিবহন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এই রুট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে নাব্য সংকটের কারণে সার্ভিসটি বন্ধ থাকায় পণ্যবাহী পরিবহন ও যাত্রীদের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও বিপাকে পড়েছেন। যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে স্যালো ইঞ্জিনচালিত নৌকায় নদী পারাপার হতে হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে বিআইডব্লিউটিসির মেরিন অফিসার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, "বিআইডব্লিউটিএ'র প্রধান কার্যালয়ের টেকনিক্যাল টিম নদী গর্ভে অতিরিক্ত অতিরিক্ত পলি জমার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ড্রেজিং কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ফেরি চলাচলের জন্য নৌ- চ্যানেলে ৬-৭ ফুট পানির গভীরতা প্রয়োজন, বর্তমানে গভীরতা রয়েছে ৪-৫ ফুট। ফলে প্রায়ই ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হচ্ছে।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, ড্রেজিংকৃত পলি নদীতেই ফেলার ফলে স্রোতের টানে তা ভাটির দিকে জমা হয়ে নতুন ডুবোচরের সৃষ্টি হচ্ছে। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে কার্যকর পরিকল্পনার দাবি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, কুড়িগ্রাম চিলমারী-রৌমারী ফেরি সার্ভিসটি বন্ধ থাকায় যেমন যাত্রীদের ভোগান্তি দিনদিন বাড়ছে, তেমনি কৃষি পণ্য পরিবহন ব্যাহত হওয়ায় কৃষকদের অনেক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। স্থানীয়রা দাবি করেন দ্রুত ড্রেজিং কার্যক্রম পুনরায় শুরু করে ফেরি চলাচল সচল করার আহ্বান জানিয়েছেন। অর্থনীতি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার লক্ষে ফেরি সার্ভিসটি চালু অতিজরুরী মনে করেন স্থানীয়রা।