বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী
রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুর পরেই জিয়া

দেশের রাজনীতিতে ‘বঙ্গবন্ধুর পরেই জিয়াউর রহমানের’ স্থান দেখছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। সঙ্গে বলেছেন, ‘বেঁচে থাকলে’ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যকার রাজনৈতিক দূরত্ব তিনি ঘুচিয়ে দেবেন।
শনিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলে সোনার বাংলা কমিউনিটি সেন্টারে এক শোকসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, “আমি বেঁচে থাকলে জিয়াউর রহমানের দলের সঙ্গে শেখ হাসিনার লোকজনের যে দূরত্ব, সেটা ঘুচিয়ে দেব। বঙ্গবন্ধু একবারের জন্যও জিয়াউর রহমানকে কোনো খারাপ কথা বলেননি। বঙ্গবন্ধু মারা যাওয়ার পরেও জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ‘টু’ শব্দও করেননি।“
তিনি বলেন, “স্বাধীনতার সবাই যদি একদিকে থাকতে পারত, তাহলে স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা মুক্তিযোদ্ধাদের গলায় জুতার মালা পরাতে পারত না। জিয়াউর রহমান একজন শ্রেষ্ঠ মানুষ; রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুর পরেই জিয়াউর রহমান।”
কাদেরিয়া বাহিনীর প্রশাসক মুক্তিযোদ্ধা আবু মোহাম্মদ এনায়েত করিমের স্মরণে এ সভা হয়। সেখানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমালোচনাও করেন কাদের সিদ্দিকী। তিনি বলেন, “বৈষম্যবিরোধীদের সফলতার প্রতি আমি হাজারবার সম্মান জানাই। কিন্তু তারা এখন মুক্তিযোদ্ধাদের গলায় জুতার মালা পরায়। আমি বলে দিতে চাই, তাদের গলায়ও একদিন মালা পরবে; সেখান থেকে মুক্তি নেই।”
তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার ১৬ বছরের সরকারে যে দুর্নীতি হয়েছে, বর্তমানে ১০ মাসের আমলে যদি তার চেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়, তাহলে কে ভালো?
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ ভুল করেছে, আওয়ামী লীগ সরকার ভুল করেছে। জয় বাংলাকে কেউ কেউ দলীয় স্লোগান করার চেষ্টা করেছে। না; জয় বাংলা মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান, জয় বাংলা দেশের স্লোগান; বাংলাদেশের স্লোগান। আমরা এটাকে মান্য করব এবং সবখানে আমরা জয় বাংলা বলব; জয় বঙ্গবন্ধু বলব। বাংলাদেশ আর বঙ্গবন্ধু কখনও বিচ্ছিন্ন না; এক শব্দ। বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ চিন্তা করা যায় না।”
তিনি বলেন, “সকালে একজন এসে আমাকে বলল, মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই করা হবে। আমি বললাম, যাচাই বাছাই করার তোমরা কারা। তোমাদের তো তখন জন্মই হয়নি। যাচাই বাছাই করলে আমরাই করব। মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আর কোনো ছেলে খেলা সহ্য করা হবে না। এনায়েত করিমের শোক সভায় এটাই হবে আমাদের শপথ।”