ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১


পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে শীর্ষ পদ পেতে অভিযুক্তদের দৌড়ঝাঁপ


৯ মার্চ ২০২১ ০৪:২৩

আপডেট:
১৮ এপ্রিল ২০২৪ ১০:১৫

পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে নেতা হতে অভিযুক্তদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে বলে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানা গেছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জেলা কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। পরবর্তীতেে জেলা কমিটিতে পদ প্রত্যাশীদের কাছ থেকে জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করা হলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আসার জন্য বিএনপি, ছাত্রদলের সাথে সম্পৃক্ত ও নানান অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দৌরাত্ম্য বাড়ে।

সৈয়দ বেলাল হোসেন পাবেলের আপন বড় ভাই সৈয়দ ইব্রাহীম সবুজ যুগ্ম সম্পাদক ১নং ওয়ার্ড বিএনপি। তার আপন বোন মহিলা দলের সদস্য। পাবেল রাজাকারের নাতি বলে অভিযোগ করেছেন পটুয়াখালী সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সোহেল। তিনি পাভেলের বিএনপি ও ছাত্রদলের সাথে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততাা সম্পর্কে একটি চিঠি লিখে ছাত্রলীগকে সতর্ক করেছেন।

পাবেল সম্পর্কে লেখা যুবলীগ নেতার চিঠি

 

মেহেদী হাসান কোয়েল: জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় ভাংচুরের মামলা রয়েছে তার নমে। মামলা নং ১৪৪/১৩ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা রয়েছে। মামলা নং জি আর ৩৫৪/ক, । কোয়েল বিবাহিত। তার স্ত্রীর নাম নাম মোসাঃ রায়না।

সবুর খান: নারী শিশু দমন আইনে মামলা রয়েছে পটুয়াখালী সদর থানায় তিনি চার্জশিট ভুক্ত আসামী বলে জানা গেছে। সম্প্রতি পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের সামনে প্রকাশ্যে এক শিক্ষার্থীকে কুপিয়েছে। সেই মামলার ১নং আসামী সবুর খান।

ফয়জুল হক মুনসেফ: পিতা ফজলুল হক বাহার মোল্লা। পটুয়াখালী সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সরাস্ট্র মন্ত্রী আলতাফ চৌধুরির আস্থাভাজন লোক ছিলেন।

হৃদয় কুমার আশিষ : পটুয়াখালী জেলা প্রেস ক্লাবের সদস্য ও বেতন ভুক্ত কর্মচারি ( দৈনিক সরেজমিন বার্তা)

তানভীর হাসান আরিফ: তার পিতা জামান গাজী ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক।

উল্লেখিত নেতাদের সম্পর্কে আসা অভিযোগের প্রমাণ

 

এদিকে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আসার জন্য বিভিন্নজন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন।

কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির কাছে বিভিন্ন নেতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছেন।

পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব কাজী আলমগীর ৭ই মার্চের একটি কর্মসূচিতে বলেন, আমাদের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ। পটুয়াখালীতে যার কমিটি নাই। আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করে যদি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ পটুয়াখালী জেলা কমিটি দেয় আমরা সেটা মানবনা।