ঢাকা রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


নথি জাল করে পদোন্নতির আবেদন চিকিৎসকের


১৪ নভেম্বর ২০২০ ২২:৩০

আপডেট:
১৯ মে ২০২৪ ১৭:২৬

সরকারি নথি জাল করে পদোন্নতির আবেদন করে ধরা পড়েছেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবির। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালায় বিভাগীয় মামলা করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

গত ৫ নভেম্বর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান এক অভিযোগনামায় ডা. হুমায়ুন কবিরকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন। পাশাপাশি এই চিকিৎসক ব্যক্তিগত শুনানি চান কি না তাও জানাতে বলা হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযোগনামা থেকে জানা যায়, আট বছর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রণালয় প্রকাশিত বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের ২৫৫ কর্মকর্তার চাকরি স্থায়ীকরণের আদেশ জালিয়াতি করে ১০৯ নম্বর ক্রমিক নম্বরে বর্ণিত ডা. এ এস এম হুমায়ুন কবীরের (১১২৬২০) জায়গায় নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন। অর্থাৎ মিথ্যা তথ্য দিয়ে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে আবেদন করেন। পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্তে বিষয়টি ধরা পড়ে।

ডা. হুমায়ুন কবীর অবশ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই অভিযোগের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার এটার (অভিযোগনামা) একটা লিখিত জবাব দেব। শুধু আমি না, এরকম অভিযোগ ৫৪ জনের নামে হয়েছে। যেহেতু আমি এটার লিখিত জবাব দেব, তাই এখনই কিছু বলতে চাই না। কী কী কারণে এটা হয়েছে, সেখানে সব বলব। তবে এ অভিযোগের সঙ্গে আমি ডিফার করি। এটাই আমি লিখে দেব।

ডা. হুমায়নু কবীর ২০০৯ সাল থেকে জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে কর্মরত।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ডা. হুমায়ুন কবীরের এই কর্মকা-কে সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা, ১৯৭৯-এর পরিপন্থী এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ৩(খ) অনুযায়ী অসদাচরণ বলে গণ্য করেছে। পাশাপাশি এসব বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণের দায়ে কেন তাকে যথোপযুক্ত দণ্ড প্রদান করা হবে না, সে নিয়েও কারণদর্শাতে বলেছে।


জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল