নকলায় দিন দুপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সাংবাদিকের সাইকেল চুরি

শেরপুরের নকলা উপজেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ফরহাদ ক্যাডেট একাডেমীর বাউন্ডারির ভিতর থেকে হাসান মিয়া নামের এক শিক্ষক সাংবাদিকের সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে এই ঘটনা ঘটে।
হাসান মিয়া জানান, তারা স্বামী-স্ত্রী দুইজনই এখনো পড়ালেখা করছেন। তাদের ঘরে দেড় বছর বয়সী ফুটফুটে ছেলে সন্তান রয়েছে। তাই সংসার খরচসহ নিজেদের পড়ালেখার ব্যয় বহনের জন্য পড়ালেখার পাশাপাশি গত বছর থেকে ফরহাদ ক্যাডেট একাডেমীতে অতিথি শিক্ষক হিসেবে সুনামের সহিত শিক্ষকতা করে আসছেন। একাডেমীর নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৯টার সময় শখের বাইসাইকেল দিয়ে তিনি ফরহাদ ক্যাডেট একাডেমীতে আসেন। তিনি সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে পাঠদানের কাজে ব্যস্ত থাকার সুযোগে চুরচক্র তার বাইসাইকেলটি সবার অজান্তে চুরি করে নিয়ে গেছে।
এ ঘটনাটি উপজেলা ব্যাপী ছড়িয়ে পড়লে বাইসাইকেল ও মোটর সাইকেল ব্যবহারকারী শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চুর আতঙ্ক বিরাজ করছে। শিক্ষক সাংবাদিকের শখের বাইসাইকেল চুরির বিষয়টি যেন টক অব দ্যা উপজেলায় পরিণত হয়েছে।
এবিষয়ে নকলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন স্মার্ট ভিডিও এডিটর পেশাদার ভয়েজার তরুণ সাংবাদিক হাসান মিয়া। খবর পেয়ে নকলা প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দসহ অনেকেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। উপজেলায় একের পর এক চুরির ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করে সাংবাদিক নেতারা এবিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। তারা বলেন, ‘জনস্বার্থে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য বাহিনীকে আরো তৎপর হতে হবে’। চুরচক্রকে চিহ্নিত করে তাদেরকে আইনের আওতায় এতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে অন্যান্য জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান তারা।
এছাড়া, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ধারাবহিক ভাবে চুরি ঠেকাতে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একান্ত সহযোগিতা কামনা করছেন ভূক্তভোগী শিক্ষক সাংবাদিকসহ সর্বসাধারণ। তারা জানান, বাইসাইকেল ও মোটর সাইকেল চুরির সুবিধার্থে এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চুরচক্রের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় জনগণ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট সবাই সচেতন হলে এবং প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর হলে চুরের ঘটনা কমতে পারে বলে তারা মন্তব্য করেন।
উপজেলায় এপর্যন্ত চুরির ঘটনার বিষয়ে যে কোন তথ্য পেলে এবং থানায় কোন অভিযোগ বা সাধারণ ডায়েরী করা হলে চুরচক্রসহ অপরাধীদের সনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়াসহ চোরে যাওয়া মালামাল উদ্ধারে পুলিশ বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় এবং হচ্ছে। নকলা থানার পুলিশ বিভিন্ন অপরাধ দমনে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছেন।
স্থানীয় অনেকে জানান, দেশের অন্যান্য জেলা উপজেলার চেয়ে নকলায় অধিক শান্তি বিরাজ করছে। এতেই প্রমান হয় যে, নকলার প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করেছেন। ফলশ্রুতিতে আগের চেয়ে নকলা উপজেলায় যেকোন অপরাধের মাত্রা ও পরিমাণ অনেক কমেছে বলেও অনেকে মন্তব্য করেন।