ভোট ছাড়াই জেতার আশা ৩ কাউন্সিলর প্রার্থীর ১৫ লাখ টাকা জলে
অবৈধভাবে জয়ী হতে প্রতারকের খপ্পরে তিন কাউন্সিলর

ফোনে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে ভোটে জয়ী করার প্রতিশ্রুতি তিন কাউন্সিলর প্রার্থীর কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র।
এ ঘটনায় প্রতারক চক্রটি আদাবর থানার ওসির মোবাইল ফোন নম্বর ক্লোন করেছিল বলে পুলিশ ধারণা করছে।
প্রতারণার শিকার তিন কাউন্সিলর হলেন- ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ইয়াসিন মোল্লা, একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল কাশেম এবং পাশের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ডেইজী সারওয়ার।
এ ঘটনায় ইয়াসিন মোল্লার ছেলে কাওসার মোল্লা গত ২৪ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন।
আদাবর থানার ওসি কাজী শহিদুজ্জামান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এজাহারে বলা হয়, গত ২২ জানুয়ারি সকালে আদাবর থানার ওসির মোবাইল নম্বর থেকে কল করে ওসি পরিচয় দিয়ে ইয়াসিন মোল্লাকে ভোটে জেতাতে সহযোগিতার প্রস্তাব দেন এক ব্যক্তি।
এ জন্য তিনি একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়ে একটি মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতে বলেন। কিছুক্ষণ পর কথিত ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসিনকে কল করে নির্বাচনে জেতানোর আশ্বাস দিয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১৫ লাখ টাকা পাঠাতে বলেন। এর মধ্যে এখন পাঁচ লাখ ও নির্বাচনের পর ১০ লাখ টাকা দিতে বলেন।
ইয়াসিন তাতে রাজি হয়ে ১২ দফায় পাঁচ লাখ টাকা পাঠান। ওই দিন সন্ধ্যায় কথিত ম্যাজিস্ট্রেট আবারও ফোন করে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা চায়। এতে সন্দেহ হলে ইয়াসিন ওসিকে ফোন করে বিষয়টি জানান।
ওসি শহিদুজ্জামান আমাদের দিনকে বলেন, প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে ইয়াসিন মোল্লাকে দ্রুত থানায় আসতে বলা হয়।
ফোন নম্বর ক্লোন করে এ ঘটনা ঘটানো হয়ে থাকতে পারে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। স্থানীয়রা জানান, একই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কাশেম এবং পাশের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ডেইজী সারওয়ারের কাছ থেকেও একই একই চক্র অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।
তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, আমরা এই তিনজনের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে জানতে পেরে আসামিদের ধরতে কাজ শুরু করেছি। এই চক্রের কেউ ধরা পড়লে তারা আর কার কার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে তা জানা যাবে। আরও কেউ এভাবে অর্থ দাবি করলে পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করেন তিনি।