লঞ্চে তরুণী পেটানো সেই তরুণের দাবি
‘বড় ভাই হিসেবে শাসন করেছি’

মুন্সীগঞ্জে লঞ্চঘাটে দুই তরুণীকে প্রকাশ্যে মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনায় নেহাল আহমেদ জিহাদ নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (১০ মে) দুপুরে সদর থানা পুলিশ তাকে আটক করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে প্রায় চার শতাধিক তরুণ-তরুণী পিকনিক ও ভ্রমণের উদ্দেশ্যে লঞ্চ ভাড়া করেন। লঞ্চটি ঢাকা ফেরার পথে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালে থামায়। পরে লঞ্চে মাদক সেবন ও অশ্লীলতার অভিযোগ তুলে স্থানীয়রা লঞ্চে তল্লাশি করে ভাঙচুর চালায়। একপর্যায়ে লঞ্চে থাকা ছেলে-মেয়েদের হেনস্তা ও মারপিট করে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
অভিযুক্ত নেহাল আহমেদের দাবি, স্থানীয় কয়েক শ মানুষ ওই তরুণীদের আচরণ ও বেশভূষায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের ওপর চড়াও হয়। এমন পরিস্থিতিতে কয়েকজন তরুণী আমার কাছে সাহায্য চান, যেন আমি তাদের ওই পরিস্থিতি থেকে বের করে আনি। আমি তাদের বোঝানোর চেষ্টা করি যে তাদের নিরাপদে উদ্ধার করতে গেলে, মব সৃষ্টি করে আমার ওপর হামলা হতে পারে। তারা আমাকে বড় ভাই হিসেবে পাশে থাকার অনুরোধ জানালে, আমি সেই দায়িত্ববোধ থেকে তাদের শাসনের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি। এর বেশি কিছু নয়। তারপরও আমি যেটি করেছি, এটি ভুল করেছি। আমি এর জন্য অনুতপ্ত।’
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি সাইফুল আলম বলেন, ‘শুক্রবার (৯ মে) মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সে ঘটনার প্রেক্ষিতে আমরা জিহাদকে (নেহাল আহমেদ) থানায় আসতে বলি। সে থানায় আসে। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ভুক্তভোগী এক তরুণীকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। তবে তিনি আসবেন না বলে জানিয়েছেন। তার মুঠোফোনটি বন্ধ দেখাচ্ছে। নৌ পুলিশ লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। কেউ কোনো ব্যবস্থা না নিলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।’