বোস-আইনস্টাইন তত্ত্বের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষ্যে ৪ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ এবং বোস সেন্টার ফর এ্যাডভান্সড স্টাডি এন্ড রিসার্চ ইন ন্যাচারাল সাইন্সেস-এর উদ্যোগে “Centennial Celebration of Bose-Einstein Statistics: A Legacy of Dhaka” শীর্ষক ৪-দিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন ০৭ নভেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার ঢাকায় শুরু হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই সম্মেলন উদ্বোধন করেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান উদ্বোধনী অধিবেশনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ভারতের এসএনবিএনসিবিএস-এর অধ্যাপক পার্থ ঘোষ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন । সম্মেলন আয়োজক কমিটির সম্পাদক অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান স্বাগত বক্তব্য দেন এবং আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক সুপ্রিয়া সাহা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন । পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. খন্দকার সাদাত হোসেন অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎকর্ষ সাধনে কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় অবদান রাখার জন্য তিনি সক্ষমতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এ লক্ষ্যে উচ্চপ্রত্যাশা নিয়ে গবেষণা করতে হবে। অধ্যাপক সত্যেন বোস ১৯২৪ সালে এধরনের প্রত্যাশা নিয়েই গবেষণা করেছিলেন। আমাদেরও আজ একই কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিজ্ঞান চর্চার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে প্রস্তুত। এক্ষেত্রে তিনি সকলের পরামর্শ চান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করতে অত্যাধুনিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শিক্ষাবিদ, পেশাজীবী ও বিজ্ঞানীদের প্রতি আহ্বান জানান। উপাচার্য বলেন, অধ্যাপক সত্যেন বোস অসামান্য গবেষণা কর্মের মাধ্যমে আমাদের গর্বিত করেছেন। বিজ্ঞান গবেষণায় আরও সফলতা অর্জনের লক্ষ্যে বিদেশি বিজ্ঞানীদের সঙ্গে উদ্ভাবনী জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য তিনি দেশের শিক্ষাবিদ ও গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানান। এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন এক্ষেত্রে একটি অভিন্ন প্লাটফর্ম তৈরি করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ব্রাজিল, জাপান, হংকং, ভারত, পাকিস্তান ও নেপালের ৩০ জন বিজ্ঞানী অংশ নিচ্ছেন।