ঢাকা রবিবার, ২৮শে এপ্রিল ২০২৪, ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১


গবেষণাখাতে মাত্র ১ শতাংশ ব্যয় করছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো


১১ জানুয়ারী ২০২১ ১৭:৩৯

আপডেট:
১১ জানুয়ারী ২০২১ ১৭:৪৮

দেশের অর্থনৈতিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যলয়ের গবেষণা কাজ। কিন্তু, তাতে নেই প্রয়োজনীয় তহবিল বরাদ্দ। সাম্প্রতিক এক ব্যয় পর্যালোচনায় এমন দশা উঠে আসে। 

২০১৯ সাল ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ৪৬তম বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০১৯ সালে দেশের ১২৫টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সর্বমোট মাত্র ১৫৩ কোটি টাকা গবেষণায় ব্যয় করেছে। অর্থাৎ, প্রত্যেকের গড় বার্ষিক খরচ ছিল ১ কোটি ২২ লাখ টাকা। এটা তাদের সকল প্রকার খরচের তুলনায় মাত্র ১ শতাংশ।   

বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এ স্বল্প ব্যয়ে বিশাল মূল্য দিচ্ছে দেশ। বিশেষজ্ঞরা জানান, একারণেই ২০২০ সালে গ্লোবাল নলেজ ইনডেক্স- এ মন্দ অবস্থান ছিল বাংলাদেশের।    

 

শুধু গবেষণায় কম জোর দেওয়ার কারণেই সারণীর 'উন্নয়ন এবং উদ্ভাবন' সূচকে ১০০ এর ভিতর মাত্র ১৬.৪ পয়েন্ট পায় বাংলাদেশ। যেকারণে, শিক্ষার অন্যান্য সূচকে বাংলাদেশের তুলনামূলক ভালো স্কোর করার সম্ভাবনা নষ্ট হয়।  

মোট ১০০টির মধ্যে; বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ব-শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং শিক্ষা সহযোগী পরিবেশের মতো সূচকে বাংলাদেশ পেয়েছে ৪০ এর বেশি স্কোর অর্জন করে। তবুও উচ্চশিক্ষা গবেষণায় অবহেলা দুর্বল করেছে দেশের সার্বিক অবস্থান। 

চরম নাজুক এই হালচিত্র তুলে ধরে যোগাযোগ করা হলে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তারা এখন থেকে গবেষণা খাতে খরচ বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দেন।    

কে কত খরচ করছে:

ইউজিসি প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৯ সালে ৩৪টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবেষণা) ব্যয় ছিল ৫৩ কোটি টাকা বা গড়ে ১ কোটি ৪০ লাখ করে। অন্যদিকে, বেসরকারি ৮৭টি বিশ্ববিদ্যালয় একাজে খরচ করেছে ১০০ কোটি বা গড়ে ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা। 

একইবছর, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাকর্মীদের বেতনভাতা-সহ সার্বিক ব্যয় ছিল ৪,৬৪৩ কোটি টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে তা ছিল ৩,৬৩১ কোটি টাকা।  

গবেষণায় গড় খরচের অঙ্কে সরকারি প্রতিষ্ঠান বেসরকারির চাইতে এগিয়ে থাকলেও, মোট খরচের বিপরীতে গবেষণাকাজে বরাদ্দের অনুপাত তুলনা করা হলে বিপরীত চিত্রের দেখা মেলে। 

প্রতিটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের মোট বাজেটের ১.১৪% ব্যয় করেছে গবেষণায়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এ অনুপাত ছিল ২.৯৬ শতাংশ। 

এছাড়া, সাম্প্রতিক প্রকাশিত ইউজিসি'র বার্ষিক প্রতিবেদন বলছে, ২০১৯ সালে শীর্ষ ১০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায় ব্যয় করেছে ৮২ কোটি টাকা। তার বিপরীতে শীর্ষ ১০ সরকারি বিদ্যালয় বিনিয়োগ করেছে মাত্র ৩২ কোটি টাকা।

সবচেয়ে আশ্চর্য ঘটনা হলো; ২০১৯ সালে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায় যে অর্থ ব্যয় করেছে, তা ছিল শীর্ষ ১০টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের করা মোট গবেষণা ব্যয়ের চাইতে ৫ কোটি টাকা বেশি।

বেসরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নয়টিতে শিক্ষাবর্ষ এখনো শুরু হয়নি। এরমধ্যে আদালতের নির্দেশে বন্ধ হয়েছে তিনটি, অপর ছয়টি ২০১৯ সালে কোনো গবেষণার উদ্যোগ নেয়নি। ইউজিসি প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে আটটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও গবেষণা করেনি। 

শিক্ষাবিদরা বলছেন, দেশের উচ্চতর শিক্ষা কেন্দ্রগুলোতে গবেষণা ব্যয়ের পরিমাণ খুবই কম এবং এধরনের অপর্যাপ্ত গবেষণা উদ্যোগ উল্লেখযোগ্য কোনো সাফল্যও বয়ে আনবে না।   

এব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় গবেষনার মাধ্যমে নতুনতর জ্ঞান উৎপাদন করে বিশ্বকে সমৃদ্ধ করার কেন্দ্র। কিন্তু, দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ফলদায়ক কোনো গবেষণা করছে না, যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।    

"আমাদের মৌলিক গবেষণা কাজ করা দরকার আর সেজন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ বরাদ্দও প্রয়োজন। কিন্তু, দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায় পর্যাপ্ত বরাদ্দ পায় না, অন্যদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ব্যয় বাড়াতে কুণ্ঠিত বোধ করে," তিনি বলেছেন।   
দেশে গবেশ্নার পরিধি ও মান উন্নয়নে এখন বিপুল বরাদ্দ দরকার বলে মন্তব্য করেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে বিভাগের সাবেক শিক্ষক এবং খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। "তবে কোনো ইউনিভার্সিটি-ই যথেষ্ট মাত্রায় গবেষণা বিনিয়োগ করছে না, তাই আমি উত্তরণের কোনো আশাও দেখছি না।"

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণায় জোর দেওয়া এবং তার মাধ্য দিয়ে মানসম্মত শিক্ষায় জোর দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটস প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।  

 "বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের পেছনে যথাযথ বিনিয়োগ না করেই বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কীভাবে দক্ষ মানবশক্তি উৎপাদন করবে?" গবেষণা ব্যয়ের অপ্রতুল বরাদ্দের কথা উল্লেখ করে তিনি এ প্রশ্নও রাখেন।   

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবর্ণনীয় দূরাবস্থা:

দেশে ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১০৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৪৪ লক্ষ শিক্ষার্থী রয়েছেন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে।

২০১৯ সালে গবেষণায় বিনিয়োগের অংক বিবেচনায় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে এমন ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি তুলে ধরার উদ্যোগ নেয় টিবিএস। 

সেবছর, শীর্ষ ১০ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় বিনিয়োগের পরিমাণ ১০টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় ছিল ২.৫গুণ বেশি।

এসময়, স্বনামধন্য ১০ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিনিয়োগ করে ৮২ কোটি টাকা। আর স্বনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করেছে ৩২ কোটি টাকা।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ব্যয় ছিল ৭শ' কোটি টাকা, এরমধ্যে মাত্র ৫ কোটি ২০ লাখ টাকা বা মোট খরচের দশমিক ৭৪ শতাংশ গবেষণায় ব্যয় করা হয়। 

এপ্রসঙ্গে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস- চ্যান্সেলর প্রফেসর আখতারুজ্জামান গবেষণা খাতে কোনো তহবিল ঘাটতি নেই বলে দাবি করে বলেছেন, "শিক্ষকরা যদি আরও গবেষণা করতে চান, তাহলে আমরা তাদের পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দেব।" 

বিনিয়োগের ঘাটতির প্রসঙ্গ তোলা হলে, গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধির চেষ্টা করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন। 

২০১৯ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট খরচ ছিল ২৫৩ কোটি টাকা, এরমাত্র দশমিক ৮৯ শতাংশ বা ২.২৭ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানটি গবেষণার পেছনে ব্যয় করে। 

এব্যাপারে, বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম টিবিএস'কে জানান, তারা সরকারি তহবিল গবেষণার পেছনে ব্যয় করছেন। তবে তিনি গবেষণাপত্র প্রকাশনা এবং প্রচারের ঘাটতির কথা উল্লেখ করেন। 

২০১৯ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) মোট খরচ করে ২২৯ কোটি টাকা। এরমাত্র ১ শতাংশ বা ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয় হয় গবেষণায়।

সেই তুলনায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণার জন্য শীর্ষ ১০ সরকারি প্রতিষ্ঠানের মোট ব্যয়ের চাইতে ৫ কোটি টাকা বেশি খরচ করেছে। 

বেসরকারি শিক্ষাঙ্গনটির মোট খরচ ছিল ৪শ' কোটি টাকা, যারমধ্যে গবেষণা সংক্রান্ত কাজে ব্যয় হয়েছে ৩৭ কোটি টাকা বা মোট খরচের ৯.২৫ শতাংশ। 

ব্র্যাক উপাচার্য অধ্যাপক ভিনসেন্ট চ্যাং বলেন, "জ্ঞান উৎপন্ন করা, মানবিক গুণাবলী প্রতিষ্ঠা এবং টেকসই উন্নয়ন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল মিশন। এসব লক্ষ্য গবেষণার সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। এজন্যেই বাংলাদেশ এবং সমগ্র বিশ্বের কল্যাণে আসবে এমন বিষয়ের বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানে আমরা দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।" 

"মিশনের অংশ হিসেবে, জনস্বাস্থ্য, দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং মানবিক সহযোগিতার প্রচেষ্টা নিয়ে আমাদের গবেষণা আগামীদিনেও অব্যাহত থাকবে। জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত নানা দিকও তার সঙ্গে প্রাধান্য পাবে। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কল্যাণ ও সমৃদ্ধি আনয়নে আমাদের গবেষণা প্রচেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলেও আমরা বিশ্বাস করি।"

২০১৯ সালে পরিচালনা ১০৯ কোটি টাকা পরিচালনা ব্যয় করেছে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)। এর ১২ শতাংশ বা ১২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা গবেষণায় ব্যয় করা হয়। 

বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক এইচএম জহিরুল ইসলাম টিবিএসকে জানান, তার প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা দেশের মৌলিক কিছু সমস্যা নির্ণয়ের চেষ্টা করছেন। "আমাদের কাজ সমস্যা চিহ্নিতকরণ, সমাধানের দায়িত্ব সরকারের। এভাবে জাতি গঠনের কাজে আমরা সরকারকে সহায়তা করতে প্রস্তুত আছি," তিনি বলেছেন।   

"২০১৯ সালে আমাদের গবেষকরা অসাধারণ কিছু কাজ করেছেন, তাই আমি তাদের নিয়ে সন্তুষ্ট। আমরা মূলত: জলবায়ু পরিবর্তন, পোশাক শ্রমিকদের বিনোদন, উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকা এবং সাইবার অপরাধ নিয়ে কাজ করেছি। ইউল্যাবের গবেষণা থেকে জাতি উপকৃত হবে, বলেই আমি মনে করি।  

নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞান সৃষ্টি ও চর্চা করে তা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। "আমাদের দেশের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় বিদেশি গ্রন্থ আর গবেষণার মাধ্যমে ঋদ্ধ জ্ঞান বিতরণ করে আসছে। তাই আমরা নিজ জাতির জন্য এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্যেও জ্ঞান উৎপন্ন করতে চাই।" 

তিনি আরও বলেন, "এনএসইউ গবেষকদের বেশিরভাগ গবেষণা এবং নিবন্ধ আন্তর্জাতিকভাবে সুপরিচিত জার্নালগুলোয় প্রকাশিত হয়েছে। আমাদের গবেষণা কাজের অবস্থা সন্তোষজনক। সহযোগিতার ব্যাপারে কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ গবেষণা কর্তৃপক্ষ (নাসা) এবং আরও নানা বিখ্যাত আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।" 

"আসলে তহবিল বরাদ্দ নিয়ে আমাদের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। গবেষকদের চাহিদা অনুসারে আমরা তহবিল দিয়ে থাকি। কিন্তু, এজন্য আমাদের শর্ত হলো; উন্নত ও বিশ্বমানের কাজ,"অধ্যাপক  আতিকুল ইসলাম যোগ করেন। 

"শিক্ষকদের অধীনে করা গবেষণা কাজের ভিত্তিতে আমাদের শিক্ষার্থীরা বিশ্বের নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায়। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে দক্ষ কিছু জনশক্তিও তৈরি হচ্ছে," তিনি বলছিলেন। 

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির  শিক্ষার্থী সম্পর্ক বিভাগের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান জানান, তাদের প্রতিষ্ঠানটি জাতিগঠন, জীবনমান উন্নয়ন এবং জীবিকা সৃষ্টির লক্ষ্যে গবেষণা করছে। 

তিনি বলেন, "আমাদের গবেষণা শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করে এবং তাদের ভবিষ্যতের জন্য দক্ষ হয়ে ওঠার সুযোগ করে দেয়।"