ঢাকা বুধবার, ৬ই আগস্ট ২০২৫, ২৩শে শ্রাবণ ১৪৩২


আগস্টের শুরুতেই রেমিট্যান্স প্রবাহে উল্লম্ফন


প্রকাশিত:
৬ আগস্ট ২০২৫ ১৮:৫৩

২০২৫-২৬ অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্টের প্রথম পাঁচ দিনেই রেমিট্যান্স প্রবাহে চমকপ্রদ উত্থান লক্ষ্য করা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, ১ আগস্ট থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত পাঁচ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে পাঠিয়েছেন ৩২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছরের একই সময়ে (১-৫ আগস্ট ২০২৪) এই অঙ্ক ছিল ১৮১ মিলিয়ন ডলার। ফলে এক বছরের ব্যবধানে এ সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮১.৬ শতাংশ।

শুধু গত দুই দিনেই (৪ ও ৫ আগস্ট ) এসেছে ১০৮ মিলিয়ন ডলার, যা প্রতিদিন গড়ে ৫৪ মিলিয়ন ডলারের বেশি। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগস্ট মাসের শেষ নাগাদ রেমিট্যান্স প্রবাহ ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, চলতি অর্থবছরের (২০২৫-২৬) জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশে মোট ২৮০৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। আর গত অর্থবছরের (২০২৪-২৫) একই সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল ২০৯৪ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের শুরুতেই রেমিট্যান্স প্রবাহে ৩৩.৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, অবৈধ চ্যানেল হুন্ডি প্রতিরোধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ, বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রণোদনা অব্যাহত রাখা এবং ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দ্রুত অর্থ স্থানান্তর ব্যবস্থা নিশ্চিত করায় এই প্রবৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে আরও দেখা গেছে, জুলাই মাসেই (২০২৫) দেশে এসেছে ২৪৭৮ মিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স। এই অঙ্ক একক মাস হিসেবে গত ৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অর্থনীতির জন্য রেমিট্যান্স প্রবাহ একটি ‘লাইফলাইন’ হিসেবে কাজ করে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পুনর্গঠন, টাকার বিপরীতে ডলারের চাহিদা সামাল দেওয়া এবং আমদানি ব্যয় পরিশোধে এই অর্থ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

তবে দীর্ঘমেয়াদে এই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে প্রবাসীকর্মীদের দক্ষতা উন্নয়ন, নতুন শ্রমবাজার অনুসন্ধান এবং রেমিট্যান্স প্রেরণে প্রযুক্তিগত সহায়তা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন অর্থনীতিবিদরা।