যেসব কারণে স্থগিত বিনিয়োগকারীদের ৬১৭ বিও হিসাব

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৩৭৬টি বেনিফিশারি ওনার্স (বিও) হিসাব রয়েছে।
এর মধ্যে গত ৫ আগস্ট পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের পর সন্দেহমূলক লেনদেন, অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে, কিংবা রাজনৈতিক সম্পৃক্তাতার কারণে ৬১৭টি বিও হিসাব স্থগিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
স্থগিত এসব বিও হিসাবে প্রায় ৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে লেনদেন বন্ধ রয়েছে। বিএসইসি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে ৬১৭টি বিও হিসাব স্থগিতের তথ্য পাওয়া গেছে। এগুলোর মধ্যে ৩৫৭টি বিও হিসাব বিভিন্ন সরকারি সংস্থার অনুরোধে স্থগিত করেছে বিএসইসি।
সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে- দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), বাংলাদেশ ব্যাংক এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশনা। এছাড়া, বিএসইসি-ও বেশকিছু বিও হিসাব স্থগিত করেছে। আরও কিছু স্থগিত করা হয়েছে সরকারি সংস্থার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে।
সূত্র বলছে, বিএসইসি ১০৯ বিও হিসাবের লেনদেন স্থগিত করেছে মূলত বিভিন্ন অনিয়ম-কারসাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগে। এর মধ্যে বিও হিসাবের বেশ কয়েকজন মালিক বিএসইসির জরিমানার আওতায় পড়েছেন। এছাড়াও, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির (এএমসি) ছয়টি বিও হিসাব স্থগিত করেছে বিএসইসি।
জানা গেছে, বিএসইসি ৩৩ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির বিও হিসাব বন্ধ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক তথা ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধাভোগী হওয়ার কারণে।
এই প্রভাবশালী ৩৩ জনের নিকট আত্নীয় ও পরিবারের সদস্যসহ মোট ১২৭টি বিও হিসাব স্থগিত করেছে সংস্থাটি। স্থগিত বিও হিসাবগুলো কবে নাগাদ চালু হবে তা নিশ্চত করে বলতে পারছে না বিএসইসি। তবে আগামী সপ্তাহে এসব বিও হিসাবের মালিকদের কার অপরাধের মাত্রা কীরকম সেগুলো যাচাই-বাচাই করা হবে বলে জানা গেছে।