ভোজ্যতেলের দাম বাড়বে ১৮ টাকা? সিদ্ধান্ত ছাড়াই মন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষ
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৮ টাকা বাড়ানোর ঘোষণার পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষ হয়েছে সিদ্ধান্ত ছাড়াই।
রবিবার বিকালে এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে ছিল ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো। এখন তাদেরকে মঙ্গলবারের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে।
গত ২৭ মার্চ ভোজ্যতেল পরিশোধনাকারী কোম্পানিগুলোর সমিতি বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে যে চিঠি দেয়, তা নিয়ে আলোচনা হয় মন্ত্রণালয়ে।
আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য- আইআইটি দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “আমরা আজকের বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। তবে আগামী দু-একদিনের মধ্যে আরেকটি বৈঠক হবে।”
বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৮ টাকা বাড়ানোর কারণ হিসেবে আমদানি পর্যায়ে শুল্ক–কর অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হওয়াকে উল্লেখ করা হয়েছে। গত ৩১ মার্চ কর অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় সরকারকে এই পরিমাণ অর্থ দিতে হবে এটাই দাম বাড়ানোর যুক্তি তেল পরিশোধনকারীদের।
দাম সহনীয় রাখতে আমদানি পর্যায়ের অব্যাহত শুল্ক-কর রেয়াত ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের কাছে এ–সংক্রান্ত চিঠিও দেওয়া হয় সংস্থাটির পক্ষ থেকে।
মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) উপ-মহাব্যবস্থাপক তসলিম শাহরিয়ার বলেন, “শুল্কছাড়ের সুবিধা উঠে গেলে কোম্পানিগুলো লোকসানে পড়বে। কারণ, বিশ্ববাজারে সয়াবিন তেলের দাম বেশি। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আরও কয়েক মাস থাকবে। যে কারণে তেলের দাম বাড়ানো প্রয়োজন।“
সয়াবিন তেলে ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনায় বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশিরউদ্দীন, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মইনুল খান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রতিনিধি এবং ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানার মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।
