ঢাকা সোমবার, ২১শে এপ্রিল ২০২৫, ৯ই বৈশাখ ১৪৩২


শেরপুরে এলজিইডি'র ৫ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ কাজ একবছর ধরে বন্ধ; হাজারও পথচারীর দুর্ভোগ


২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:৪৫

আপডেট:
২১ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:৪০

শেরপুরের সীমান্তবর্তী শ্রীবরদী উপজেলার গোসাইপুর ইউনিয়নের গোপালখিলা থেকে ভারেরাবাজার এলজিইডি'র ৫ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।

জানা গেছে, প্রায় একবছর পুর্বে ঠিকাদার রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করলেও কাজ শুরুর পরপরইম নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয় ঠিকাদার। ফলে এ পথে যাতায়াতকারি যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটার পাশাপাশি হাজার হাজার পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জানা গেছে, ভারেড়া বাজার থেকে গোপালখিলা পানাতে বাড়ি পর্যন্ত এলজিইডি'র প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার সম্প্রসারনের অভাবে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরে। ফলে দুর্ভোগে পড়ে এ পথে যাতায়াতকারি হাজার হাজার পথচারী। দীর্ঘদিন দুর্ভোগের পর রাস্তাটি সংস্কার ও সম্প্রসারনের কাজ হাতে নেয় এলজিইডি। ২০২৩ সালে প্রায় ৭ কোটি টাকায় টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদার ও নিয়োগ দেয়া হয়। জাকাউল্যা এন্ড দুবো টেডার্স কাজটি পায়। ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজ শুরু করে। স্থানীয়বাসিন্দাদের অভিযোগ নির্মাণ কাজ শুরু হয় ধীরগতিতে। কাজেও দেখা দেয় অনিয়ম। নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ উঠে গ্রামবাসিদের পক্ষ থেকে। এসময় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ করে দেয়। শুধু তাই নয় এ রাস্তার রহমতপুর এলাকায় একটি কালভার্ট ভেঙ্গে রেখে কাজ বন্ধ করে দেয় ঠিকাদার। দুই উপজেলায় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। গত প্রায় একবছর ধরে নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, এ পথে প্রতিদিন ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার শতশত যানবাহন ও হাজার হাজার পথচারীদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এ রাস্তা। এছাড়া এ রাস্তার দুপাশে ভারেড়া,রহমতপুর, সংকর ঘষো, চকবাবাড়ি হুজুড়িপাড়া,বালিয়চন্ডি গোঁসাইপুর, ছেউরিয়া,দহেরপাড়, বাইগরেপাড়া, হিজলিময়না, পানাতেবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর পরিমানে কৃষিপণ্য উৎপাদন হয়ে থাকে। কিন্তু রাস্তা নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। কৃষকদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য সঠিক সময় বাজারজাত করতে পারছেন না। ৫/৭ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে কৃষি পণ্য বাজারজাত করতে হচ্ছে। চরমদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারিদের। স্থানীয়রা দ্রুত রাস্তা নির্মান কাজ করে এলাকাবাসির দুর্ভোগের দাবি জানান।

এবিষয়ে জানতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ চেষ্ঠা করে তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে জানতে এলজিডি'র শেরপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মুস্তাফিজুর রহমানের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। শ্রীবরদী উপজেলা প্রকৌশলী মশিউর রহমান বলেন রাস্তা নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে জোর তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। তবে তিনি বলেন ইতিমধ্যেই নির্মাণ কাজ শুরু করার কথা।