ঢাকা মঙ্গলবার, ১২ই আগস্ট ২০২৫, ২৯শে শ্রাবণ ১৪৩২


মৌচাকে হাসপাতালের পার্কিংয়ে ২ মরদেহ

আদম ব্যবসায়ীদের হাতে জাকির ও তার বন্ধুর মৃত্যু, অভিযোগ বাবার


প্রকাশিত:
১২ আগস্ট ২০২৫ ১৭:০৩

বামে নিহত মো. মিজানুর রহমান মিজান ও ডানে মো. জাকির হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মৌচাকের ডা.সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পার্কিংয়ে থাকা একটি প্রাইভেটকার থেকে উদ্ধার হওয়া দুই মরদেহের পরিচয় মিলেছে।

নিহতরা হলেন- মো. জাকির হোসেন (২৮) ও মো. মিজানুর রহমান মিজান (৪৪)।

রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) মো. আওলাদ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেজমেন্ট-২ একটি প্রাইভেটকারে ভেতর থেকে ২ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। মৃত ব্যক্তির ভিসেরা ও ডিএনএ সংস্করণসহ মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য ময়নাতদন্ত করা প্রয়োজন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

নিহত জাকিরের বাবা আবু তাহের জানান, আমাদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানার (লট পটিয়া খামার বাড়ি) আমার তিন ছেলে এক মেয়ে। এদের মধ্যে জাকির ছিল মেজো। সে গাড়িচালক ছিল।

তিনি আরও বলেন, পল্টনের একটি ট্রাভেলস এজেন্সিতে আমেরিকা যাওয়ার জন্য ২৫ লাখ টাকা দিয়েছিল জাকির। ১০ আগস্ট সকালে আদম ব্যবসায়ীরা মিজান ও জাকিরকে নিয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে রোগী দেখার কথা বলে নিয়ে যায়। পরে পল্টনের ট্রাভেলসে পৌঁছায় দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

এর আগে জাকিরকে শ্রীলঙ্কা থেকে প্রায় ছয় মাস ঘুরিয়ে আনা হয়। এরপর থেকেই ওই এজেন্সিকে বিদেশে যাওয়ার কথা বললে বিভিন্ন সময় হুমকিও দিতেন মিরাজ, বজলু, ইমন, রাশেদ ও ফরহাদ। তারা আমার ছেলেকে মারধর করেছে। আমার বিশ্বাস তারা আমার ছেলেকে হত্যা করে ওই গাড়ির মধ্যে রেখেছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারের কাছে দাবি আমার ছেলেসহ দুজন হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার করার দাবি জানাই।

অপরদিকে নিহত মিজানের মামা মো. জাহেদ আহমেদ বলেন, আমার ভাগিনা কৃষিকাজসহ গ্রামের অন্যান্য কাজ করতো এবং ড্রাইভিং শিখার জন্য জাকিরের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব ছিল।

তিনি আরও বলেন, নোয়াখালীর চাটখিল থানার দক্ষিণ বোমাতলী গ্রামে মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে মিজান। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হলে মরদেহ দুইটি গ্রামের বাড়ি নিয়ে জানাজা শেষে কবরস্থানে দাফন করা হবে।