বেলকুচিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

সিরাজগঞ্জ জেলায় বেলকুচিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৭ টায় উপজেলার গাড়ামাসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বেলকুচি শাখার উদ্যোগে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান। তিনি বলেন— “পাড়ায় পাড়ায় সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের তালিকা করতে হবে। এদের সংখ্যা বেশি নয়। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে তাদের টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। এখন এসেছে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সময়। অতীতের মত কারচুপির নির্বাচন বাংলার জনগণ আর কখনো মেনে নেবে না। শেখ হাসিনা ক্ষমতার চরম শিখরেও থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছে। যারা একই পথে হাঁটবে, তাদের পরিণতি আরও ভয়াবহ হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে ন্যায়ের সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। দুর্নীতি, অন্যায়, চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
সম্মেলনের প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী-এনায়েতপুর) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মুফতি হাজী শেখ মোহাম্মদ নুরুন নাবী। তিনি বলেন— “বেলকুচি অবহেলিত একটি উপজেলা। এ অঞ্চলে গ্যাস সংযোগের দাবিটি বহুদিনের হলেও এখনও পূরণ হয়নি। আমি নির্বাচিত হলে বেলকুচি উপজেলায় গ্যাস সংযোগ নিশ্চিত করতে কাজ করব। নদীভাঙনে হাজারো মানুষ প্রতি বছর ঘরবাড়ি হারায়, এই ভয়াবহ সমস্যা সমাধানে নদী রক্ষা বাঁধ নির্মাণে জোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, “শিল্প, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের উন্নয়নে বেলকুচিকে আধুনিক উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলা হবে। আমাদের লক্ষ্য হলো জনগণের প্রকৃত উন্নয়ন, দলীয় স্বার্থ নয়। আমরা চাই সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ (PR) পদ্ধতির নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রকৃত প্রতিনিধি বেছে নিক।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, “নির্বাচন যেন জনগণের ভোটে হয়, কারচুপিতে নয়—এটাই এখন সময়ের দাবি।”
এছাড়া বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষি ও শ্রম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য মুফতি মুহিবুল্লাহ। তিনি কর্মীদের সংগঠিত হয়ে জনগণের পাশে থাকার আহ্বান জানান।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বেলকুচি উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা রেজাউল করিম। তিনি বলেন— “জনগণের অধিকার আদায়ে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের মাঠে থাকতে হবে। উন্নয়ন ও পরিবর্তনের জন্য জনগণের পাশে থেকে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।”
সম্মেলনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে হাজারো কর্মী-সমর্থক উপস্থিত হয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করেন। বক্তাদের বক্তব্যে তারা স্লোগান ও করতালির মাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।