নকলায় আব্দুল্লাহ চৌধুরীর প্রচেষ্ঠায় সুসংগঠিত মহিলা দলের নেতৃবৃন্দ আজ ঐক্যবদ্ধ

দীর্ঘ ১৬টি বছর ক্ষমতার বাহিরে থাকায় স্বাভাবিক কারনেই শেরপুরের নকলা উপজেলা মহিলা দলসহ সহযোগী সকল মহিলা দলের ইউনিটের নেতাকর্মীরা ঝিমিয়ে পড়েছিলো। গত বছরের ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে উপজেলা মহিলা দলসহ সহযোগী সকল মহিলা দলের ইউনিটের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন সাবেক ছাত্র নেতা, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ও প্রয়াত জাহেদ আলী চৌধুরী পরিবারের রাজনৈতিক সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ চৌধুরী।
তার সাংগঠনিক দক্ষতায় ধীরে ধীরে ঐক্যবদ্ধ করেছেন মহিলা দলের সকল ইউনিটের নেতাকর্মীদের। তিনি দক্ষ একজন সংগঠক, বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে অন্যতম পরিশ্রমী কর্মী বান্ধব নেতা বটে। তার যোগ্য নেতৃত্বের কারনেই আজ মহিলা দলের সবাই ঐক্যবদ্ধ।
মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ চৌধুরীর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও একান্ত তত্ত্বাবধানে এবং নিরলস প্রচেষ্টার ফলেই উপজেলা বিএনপির পাশাপাশি উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড মহিলা দলের সকল নেতাকর্মী সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ শক্তিতে পরিণত হয়েছে। আর ঐক্যবদ্ধের বাস্তব প্রতিফলন ঘটেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বুধবার বিকেলে উপজেলা বিএনপি ও শহর বিএনপির যৌথ আয়োজনে আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য র্যালিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত অগণিত মহিলা নেতাকর্মীদের উপস্থিতির মাধ্যমে।
তবে উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড মহিলা দলের সকল নেতাকর্মী সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ শক্তিতে পরিণত করতে অনেকের অংশগ্রহন মূলক শ্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ঐক্যবদ্ধ নারী নেতৃত্ব গঠনে যে বা যারা অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছেন তাদের মধ্যে, চরঅষ্টধর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মহিলা দলের নেত্রী হোসনে আরা বেগম, সাবেক ছাত্রনেত্রী অধ্যাপক আসমাউল হুসনা চারমী, মাদ্রাসার শিক্ষিকা আরিফা ইয়াসমিন, নকলা পৌর এলাকার রেহেনা পারভীন ও হাসনা বেগম, পাঠাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য আসমাউল হুসনা শিল্পী, টালকী ইউনিয়নের লায়লি বেগম, নূরুন্নাহার ময়না ও সুমাইয়া আক্তার সোমা, মাহমুদা বেগম, নিলুফা ইয়াসমিন, পিনকী সরকার, বানেশ্বরদী ইউনিয়নের মিনা বেগম, মনিকা পারভীন, চরঅষ্টধর ইউনিয়নের মনিকা পারভীনের মতো অনেক নারী নেতার্মীর নাম উল্লেখযোগ্য।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রকৌশলী ফাহিম চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক খোরশেদুর রহমান, সদস্য সচিব বীরমুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুল হক দুলালসহ যুগ্ম আহবায়ক ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের দায়িত্বশীলদের পরামর্শক্রমে উপজেলা মহিলা দলসহ সহযোগী সকল মহিলা দলের ইউনিটের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে নারী নেতৃত্বকে আরো বলিষ্ট করতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছেন সাবেক ছাত্র নেতা উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ও উপজেলার অতিপরিচিত চৌধুরী পরিবারের একজন রাজনৈতিক সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ চৌধুরী। এমনটাই জানান মহিলা দলের অনেকে।
আগামীতে নকলা উপজেলার মহিলা দলের নেতাকর্মীরা নকলা উপজেলাকে নারী নেতৃত্বের মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম বলে তারা মন্তব্য করেন। অনেকে জানান, আব্দুল্লাহ চৌধুরী একজন দক্ষ সংগঠক, বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে অন্যতম পরিশ্রমী কর্মী বান্ধব নেতা তিনি। মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ চৌধুরীকে উপজেলা বিএনপির আগামী কমিটিতে টপ ফাইভে স্থান দিলে, তার হাত ধরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে মহিলাদলসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের মঙ্গল বয়ে আনতে সহজ হবে বলে মহিলা দলের নেতাকর্মীরা মনে করেন।
এবিষয়ে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দেশের মোট জনগোষ্ঠির প্রায় অর্ধেক নারী। তাই তাদেরকে আদর্শ নাগরিক হিসেবে এবং রাজনৈতিক শিক্ষায় গড়ে তুলা সবার দায়িত্ব। এ দায়িত্ববোদ থেকেই আমি আমার অবস্থান থেকে জিয়ার আদর্শে নারী নেতৃত্ব গড়ে তুলতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ দেশ ও দলের স্বার্থে আমাকে আগামী কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিতেই পারেন। তবে, যে দায়িত্ব আমাকে দিবেন, যথাযথ ভাবে নিজ দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকবো। বিশেষ করে মহিলা দলের নেতৃবৃন্দের চাওয়াকে গুরুত্ব দিয়ে তাদেরকে এক্যবদ্ধ রাখতে আমি তাদের সাথে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। এর জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেছেন তিনি।