চাঁদাবাজ-খুনিদের মানুষ সংসদে দেখতে চায় না: চরমোনাই পীর

চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম বলেছেন, ৫৩ বছর যে নীতি আদর্শের মাধ্যমে যারা দেশ পরিচালনা করেছিল, তাদের মাধ্যমে পাঁচবার বাংলাদেশ পুরো বিশ্বের কাছে দুর্নীতি ও চুরির দিক দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমরা এদের পরিচালনায় পেয়েছি রাস্তায় নামলে গুম, ঘরে থাকলে খুন, আয়নাঘরের মতো অসভ্য যুগের ইতিহাস, পিলখানা ট্রাজেডি। প্রায় ২৪ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি কেউ আমাদের শত্রু নয়। কিন্তু যারা আমাদের দেশকে চোরের দিক দিয়ে চ্যাম্পিয়ন করেছে, টাকা পাচার করে ধস নামিয়েছে, এই চাঁদাবাজ, খুনি, টাকা পাচারকারীদের বাংলার মানুষ সংসদে দেখতে চায় না।
গতকাল বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ইনসাফভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন, পিআর পদ্ধতিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন এবং গৌরবময় ইতিহাস ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ রায়পুরা উপজেলাকে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ জনপদ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রায়পুরা উপজেলা শাখার বিশাল জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, একশ্রেণির লোক নেমেছে চাঁদাবাজির জন্যে, স্টেশন দখলের জন্যে, ঘাট দখলের জন্যে। তারা নিজেরা নিজেরা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে নিজেদের লোক মেরে ফেলেছে। তাদের কাছে কেন্দ্রীয় নেতারাও নিরাপদ নয়, আজ ব্যবসায়ীরা তাদের কাছে নিরাপদ নয়, সোহাগকে পাথর মেরে রাস্তায় ফেলে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ ইতিহাস দ্বিতীয়বার রচনা করতে চাই না।
১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর একটি এমপিও সংসদে যায় নাই। কারণ এই দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, খুনিদের সহযোগী ইসলামী আন্দোলন কখনোই হয় নাই বলেও মন্তব্য করেন দলের শীর্ষ এই নেতা।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রায়পুরা উত্তর শাখার সভাপতি আলহাজ আব্দুল মতিন শিপন মোল্লার সভাপতিত্বে ও রায়পুরা পৌরসভার শাখার সেক্রেটারি মাওলানা সাজেদুল্লাহ সায়েমের পরিচালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন ইসলামী সাংস্কৃতিক সংগঠন কলরবের নির্বাহী পরিচালক ও নরসিংদী-৫ আসনের এমপি প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ বদরুজ্জামান।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি শাহ ইফতেখার তারিক, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি আতীকুর রহমান মুজাহিদ, কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা শফিকুল ইসলাম সরকার, মাওলানা আইয়ুব বিন মেহেদী উদ্দিনসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।