যারা হতাশ হয়েছে বলছে, তারা সারা জীবনই হতাশ: মির্জা ফখরুল

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘যারা হতাশ হয়েছে বলেছে, তারা সারা জীবনই হতাশ থাকে।’ তার এই মন্তব্যের পরই পাশ থেকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া হয়তো তারা এখনও দেয়নি। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছে। আমরা আশা করবো, তারা একটি পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এই জাতীয় সংকটে এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে পরিষ্কার করবে, এটা আমরা আশাবাদী।’ মাঝে ফখরুল মন্তব্য করেন, ‘এক্সাক্টলি’।
বুধবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ামূলক সংবাদ সম্মেলনে স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদও ছিলেন। প্রসঙ্গত, জামায়াতের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে জুলাই ঘোষণাপত্রে হতাশার কথা ব্যক্ত করা হয়। পাশাপাশি দলটি বলে আসছে, নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি।
নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরাসহ গোটা জাতি মনে করে অতিদ্রুত নির্বাচন একমাত্র পথ। যার মধ্য দিয়ে আমরা গণতন্ত্রে উত্তরণ করতে পারি।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সম্ভব, অত্যন্ত ভালোভাবে সম্ভব। ১৯৯১ সালে তিন মাসে নির্বাচন হয়েছে। ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে পরে সেই নির্বাচন হয়েছিল। পরবর্তী সব নির্বাচন আপনার লক্ষ্য করেছেন, তিন মাসের মধ্যেই সম্ভব হয়েছে। এটা এখন আরও বেশি করে সম্ভব, জনগণ নির্বাচনটা চায়। কারণ জনগণই আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সবচেয়ে বড় প্রহরী হয়ে দাঁড়াবে।’
অধ্যাপক ইউনূস ভবিষ্যতেও এমন কিছু করবেন না, যে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে, বলে মন্তব্য করেন ফখরুল।
যত দ্রুত সম্ভব তারেক রহমান দেশে ফিরবেন বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব। সংবাদ সম্মেলন শেষে গুলশান কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এই, আজ একটু মিষ্টি খাওয়াও।’
এক প্রশ্নের জবাবে সালাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা দিয়েছেন যে জুলাই ঘোষণাপত্র পরবর্তী সরকার বাস্তবায়ন করবে। পরবর্তী সংসদে সাংবিধানিক সরকার এই বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করবে।