ঢাকা মঙ্গলবার, ৫ই আগস্ট ২০২৫, ২২শে শ্রাবণ ১৪৩২


দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে জামায়াত আপোষ করবে না: ডা. তাহের


প্রকাশিত:
৫ আগস্ট ২০২৫ ১৫:২৪

জুলাই ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক গণমিছিল-পূর্ব সমাবেশে ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।

বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে কোনো আপোষ নয়— এমন ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।

তিনি বলেন, ‘একটি টেকসই গণতন্ত্রই দেশের উন্নতির একমাত্র পথ। আর সেই লক্ষ্যে জামায়াত সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।’

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল ১০টায় মহাখালী কলেরা হাসপাতালের সামনে জুলাই ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক গণমিছিল-পূর্ব সমাবেশে এ বক্তব্য দেন তিনি। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ঢাকা মহানগরী উত্তর।

ডা. তাহের বলেন, ‘‘বিগত ৫৪ বছরে বাংলাদেশে একটি বারও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। ‘৭৩ সালের নির্বাচন থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক ‘দিনের ভোট রাতে’ ভোটে জনগণের রায়কে ছিনতাই করা হয়েছে। কেন্দ্র দখল, টাকার খেলা, এবং বিরোধী দলকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার সংস্কৃতি চালু হয়েছে। এসব বন্ধ না হলে দেশের গণতন্ত্র কখনোই শক্ত হবে না।”

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নতুন নির্বাচনী পদ্ধতির কথা বলছি— পিআর পদ্ধতি। যেখানে কেন্দ্র দখলের সুযোগ থাকবে না, টাকার খেলা চলবে না, প্রতিটি ভোট গণ্য হবে, আর যে দল যত ভোট পাবে সেই অনুপাতে আসন পাবে। জনগণের প্রকৃত রায় প্রতিফলিত হবে।’

পিআর পদ্ধতি নিয়ে যারা দ্বিধায় রয়েছেন, তাদের উদ্দেশ্যে ডা. তাহের বলেন, “একজন সিনিয়র নেতা বলেছেন, ‘পিআর কী বুঝি না।’ আমি তাকে বলেছি— একদিন সময় দেন, আমি ক্লাস নেব। যারা পিআর বোঝেন না, তারা বিশ্বের রাজনীতির খবরও রাখেন না। আর যারা পিআর চান না, তারা জানেন জনগণের মাঝে তাদের জনপ্রিয়তা নেই— আছে শুধু মাস্তানি আর টাকার জোর।”

ডা. তাহের বলেন, “আমরা ‘জুলাই যোদ্ধা’। দেশের বেশিরভাগ মানুষই আজ এই লড়াইয়ের শরিক। আমরা আর অতীত বলতে চাই না, ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে চাই। যারা স্বৈরাচারের গাড়িতে চড়ে দিল্লি চলে গেছে, তাদের আর ফিরিয়ে আনার প্রশ্নই ওঠে না। নতুন করে যারা আসতে চায়, জনগণ তাদেরও আর আসতে দেবে না ইনশাআল্লাহ।”

তিনি দাবি করেন, “একবার যদি জনগণ জামায়াতকে আস্থা দেয়, আমরা ৫৪ বছরের দুর্নীতিকে মুছে দেব। একটি নতুন, ন্যায়ভিত্তিক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ব।”

সমাবেশ শেষে একটি গণমিছিল বের হয়, যা মহাখালীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়।