ঢাকা শনিবার, ১২ই জুলাই ২০২৫, ২৯শে আষাঢ় ১৪৩২


কোনো চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে জোট করবে না জামায়াত : ড. মাসুদ


প্রকাশিত:
১২ জুলাই ২০২৫ ১২:১৩

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, ‘জামায়াতে ইসলামী কোনো চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী বা দখলবাজদের সঙ্গে জোট করবে না। আমাদের লক্ষ্য সৎ, দক্ষ ও নৈতিক নেতৃত্বের মাধ্যমে একটি কল্যাণরাষ্ট্র গড়া।’

শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ডেমরা অঞ্চলে আয়োজিত এক প্রচার মিছিল-পরবর্তী পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ কর্মসূচি ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সমাবেশ সফল করতে আয়োজিত হয়।

ড. মাসুদ বলেন, ‘যে দল নিজের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ, তারা দেশ চালাতে পারবে না। এক নেতা যেখানে আরেক নেতার কাছে নিরাপদ নয়, সেখানে জনগণের নিরাপত্তা কেমন হবে—তা সহজেই অনুমেয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী জাহেলী যুগের অবসানের পর নতুন করে কারা চাঁদাবাজি, খুনোখুনি ও দখলবাজিতে লিপ্ত হয়েছে, তা এখন জনগণের সামনে স্পষ্ট। মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনায় ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থান করেনি। সেখানে দেখা গেছে, একটি দলের দুই গ্রুপ চাঁদা নিয়ে সংঘাতে জড়িয়েছে। এক গ্রুপের নেতা অপর সদস্যকে পাথর দিয়ে হত্যা করে লাশ নিয়ে নৃত্য করেছে। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের লগি-বৈঠার চেয়েও ভয়ংকর ছিল এই ঘটনা।’

চলমান নৈরাজ্যের জন্য ক্ষমতাসীন দলগুলোকেই দায়ী করে তিনি বলেন, ‘দেশজুড়ে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে যে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে, তার জবাব জনগণ আগামী নির্বাচনে দেবে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আগে দরকার জুলাই সনদের বাস্তবায়ন, গণহত্যার বিচার, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।’

তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী দলীয় প্রতীক, নিবন্ধন বা নেতার মুক্তির দাবিতে কোনো কর্মসূচি দেয়নি, কারণ দলটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থিতিশীলতায় সহযোগিতা করেছে। আমাদের ৭ দফা দাবি বাস্তবায়ন ছাড়া জনগণের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়া যাবে না। এজন্য ১৯ জুলাইয়ের জাতীয় সমাবেশে সবাইকে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান জানাই।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন ডেমরা জোন পরিচালক অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি ও ঢাকা-৫ আসনের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মোহাম্মদ কামাল হোসেন।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মোহাম্মদ আলী, মেছবাহ উদ্দীন, ইঞ্জিনিয়ার তমিজ উদ্দীন, হাফেজ ইসমাইল আদনান ও ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার কামারাম মুনীর ফুয়াদ প্রমুখ।