ঢাকা রবিবার, ১১ই মে ২০২৫, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩২


গাড়িবহরে হামলার প্রতিবাদে এবার তাঁবু গেঁড়ে শুয়ে পড়লেন লতিফ সিদ্দিকী


১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ১০:২৯

আপডেট:
১১ মে ২০২৫ ০৬:৪৭

গাড়িবহরে হামলার প্রতিবাদে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফ সিদ্দিকী জেলা রিটার্নিং কর্মকতা ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. শহীদুল ইসলামের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন সেই দুপুরে। বেড, কাঁথা, বালিশ বিছিয়ে বসে পড়েন আওয়ামী লীগের সাবেক এই মন্ত্রী। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হলেও একটুও নড়েননি তিনি। বরং তাঁবু গেঁড়ে, লেপ নিয়ে রাত্রিযাপনের সব প্রস্তুতি সেরে শুয়ে পড়েছেন তিনি। স্থান ছাড়বেন না দাবি আদায় না হওয়া অব্দি।

রোববার বেলা ১২টার দিকে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়া ইউনিয়নের সরাতৈল এলাকায় তার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর দুপুর ২টা থেকে তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সামনের রাস্তায় ধর্মঘট পালন শুরু করেন।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সামনে গিয়ে দেখে যায়, রাতে থাকার জন্য ডিসি অফিসের সামনের রাস্তায় তাঁবু টাঙানো হয়েছে। আর ভেতরে মাটিতে পাটি ও তোষক বিছানো হয়েছে। প্রচণ্ড শীতের কারণে সেখানে লেপ গায়ে দিয়ে শুয়ে রয়েছেন লতিফ সিদ্দিকী।

লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে আমার বিজয় নিশ্চিত জেনে বর্তমান সংসদ সদস্য হাসান ইমান খানের সমর্থকরা আমার গাড়িবহরে হামলা চালায়। যাতে আমি নির্বাচন থেকে সরে যাই। কিন্তু আমি তো আওয়ামী লীগের বাইরে নই। বর্তমান এমপি সোহেল হাজারীর কারণে আওয়ামী লীগের যে সুনাম এ আসনে ক্ষুণ্ণ হয়েছে তা দূর করতেই সাধারণ মানুষ আমাকে নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য করেছে।

তিনি বলেন, বর্তমান এমপি তার নিজস্ব লোক দিয়ে এলাকায় মাদকের ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধ করে বেড়াচ্ছেন। আর এতে সাই দিচ্ছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। এভাবে চলতে থাকলে এলাকায় আওয়ামী লীগের নাম কেউ শুনতে পারবে না। আমি চাই এলাকার মানুষের কাছে আওয়ামী লীগ ভালো দল হিসেবে পরিচিতি পাক। তাই আমি এ আসনে সাধারণ জনগণের অনুরোধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়।

অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেনকে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আমি এখানেই অবস্থান ধর্মঘট পালন করবো।

লতিফ সিদ্দিকী আরো বলেন, কালিহাতীতে সরকার দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে তার কর্মী-সমর্থকদের পুলিশ ফোন করে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। সরকার দলীয় প্রার্থী ও তার কর্মী-সমর্থকরা নিয়মিত নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে যাচ্ছেন। ইতোপূর্বে আমি তিনটি পৃথক লিখিত অভিযোগ করেছি। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা কোনো ব্যবস্থাই নেননি।