ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২: বিএনপি'র আহসান উদ্দিন খান শিপনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনে বিএনপি'র মনোনয়ন প্রত্যাশী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদল নেতা আহসান উদ্দিন খান শিপনের মনোয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা হায়াত উদদউলা টিপু। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপানা বিভাগ থেকে অনার্স এবং মাস্টার্স করেছেন।
রোববার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে বাছাইকালে কোনো ত্রুটি না থাকায় তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। এসময় উদ্দিন খান শিপনের উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী খ্যাত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংসদীয় আসন সংখ্যার বিচারে দেশের ৮ম বৃহত্তম জেলা । ৬ টি সংসদীয় আসনের এ জেলায় ধানের শীষ প্রতীকের ব্যাপক জনসমর্থন থাকা সত্ত্বেও যথাযথ নেতৃত্বের কারণে তার ফসল সর্বদা বিএনপি'র ঘরে উঠেনি।
এলাকার বিএনপি নেতা কর্মীরা বলেন, একমাত্র সদর আসনেই তৃণমূল থেকে বেড়ে উঠা নেতৃত্ব রয়েছে, যার কারণে সদর-বিজয়নগর আসনটি বিএনপি'র দূর্গ বলে বিবেচিত।যার ফলশ্রুতিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনটিতে ২০০৮ সালের নির্বাচনের পূর্বে সকল নির্বাচনে বার বার ধানের শীষ বিজয়ী হয়েছে।
অপরদিকে অন্যান্য আসনগুলোতে পেশাজীবী কিংবা আওয়ামীলীগ বা জাতীয় পার্টি থেকে আসা কিংবা জোটের প্রার্থী থাকার কারণে বিএনপি ক্ষমতাসীন আমলেই কেবল সে আসনগুলোতে ধানের শীষ জয়ী হয়েছে। অর্থাৎ হাফ টাইম বা পার্ট টাইম রাজনীতিবিদদের কারণেই এসব আসনগুলোতে দলের অবস্থা নাজুক। আর ফুলটাইম রাজনীতিবিদ হওয়ার কারণেই সদর আসনটি বিএনপি'র অন্যতম দূর্গ বলে বিবেচিত।
ছাত্রদল নেতা কর্মীরা বলে, লক্ষণীয় বিষয় হলো, একমাত্র শাহজাহান হাওলাদার সুজন ব্যতীত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইতিহাসে কোন আসনে কোন ছাত্রদল নেতা নেতৃত্বে অর্থাৎ মনোনয়ন পাইয়নি। যদিও নসরুল্লাহ খান জুনায়েদ, আজিজ আহমেদ, আহসান উদ্দিন খান শিপনের মতো যোগ্য ও পরিক্ষিত অনেক ছাত্রদল নেতা উঠে এসেছেন এই ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে। তাই আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সংসদীয় আসনগুলোতে মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে সাবেক ছাত্রদল নেতাদের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।
রাজনৈতিক জীবনে আহসান উদ্দিন খান শিপনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক পথচলা শুরু হয় ১৯৯৩ সালে। ছাত্ররাজনীতির ক্যারিয়ারের শুরুতে তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ বিভাগের কমিটির ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক। পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালে বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় কবি জসীম উদ্দিন হলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। একই সময়ে হাবীব উন নবী খান সোহেল-নাসির উদ্দিন পিন্টু কমিিটর কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য থেকে শুরু করে সর্বশেষ জুয়েল-হাবীব কমিটির সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
এই আসনের বিএনপি নেতারা জানান, ১/১১ এর দুঃসময়ে বেগম খালেদা জিয়া'র মুক্তি আন্দোলন ও ফখরুদ্দিন-মঈনউদ্দিন সরকার হঠানোর আন্দোলনের শিপন এর ভূমিকা ছিল প্রশ্নাতীত। খালেদা জিয়ার নির্দেশে দলের সেই দুঃসময়ে সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি আহসান উদ্দিন খান শিপন এর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ ছিল। এই দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের পথে বহুবার কারাবন্দি হয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন।