খালেদা ও ইমরান এইচ সরকারের মনোনয়ন বাতিল

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-১ আসনে দুর্নীতি মামলায় দণ্ড হওয়ায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
রোববার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদ উজ জামান বলেন, দুটি মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা হওয়ায় ফেনী ১ আসনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
খালেদা জিয়া ছাড়াও ওই আসনে বিএনপির আরেক প্রার্থী ও দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। ওই আসনে ১০ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র চূড়ান্ত করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
মো. ওয়াহিদ উজ জামান মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের নির্ধারিত দিনে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্রের ব্যাপারে শুনানিতে পক্ষ-বিপক্ষের বক্তব্য শোনেন।
খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্রের তথ্য সঠিক হলেও পুলিশ তার বিরুদ্ধে দুটি মামলায় সাজার কথা উল্লেখ করে। এ সময় খালেদা জিয়ার পক্ষে ফেনী জেলা বিএনপির সভাপতি ও আইনজীবী আবু তাহের যুক্তি দেন যে, আপিল বিভাগে মামলা দুটি বিচারাধীন আছে। শুনানি শেষে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
পরে আবু তাহের বলেন, তারা মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে আপিল করবেন।
কুড়িগ্রাম-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমরান এইচ সরকারের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং অফিসার। মনোনয়নপত্রে এক শতাংশ ভোটারের তালিকায় ত্রুটি থাকায় রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন মনোনয়নপত্রটি বাতিল করেন।
তবে ইমরান এইচ সরকার জানিয়েছেন, এর বিপরীতে কাগজ পাওয়ার পর তিনি আপিল করবেন।
ইমরান এইচ সরকারের মনোনয়ন বাতিল
এছাড়া কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মোট ১৩ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এদের মধ্যে তথ্য গোপনের অভিযোগে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাকির হোসেনের মনোনয়নপত্রও বাতিল করা হয়েছে।
কুড়িগ্রামের মোট চারটি আসনে ৫৭ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এদের মধ্যে ১৯ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম-৪ আসনেই ১৩ জনের ও কুড়িগ্রাম-৩ আসনে ঋণ খেলাপের অভিযোগে বিএনপি প্রার্থী আব্দুল খোলেকের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এছাড়া কুড়িগ্রাম-২ আসনে ৪ জন ও কুড়িগ্রাম-১ আসনে একজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।