ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর তুলনা করলেন আ'লীগ নেতা


২৭ মার্চ ২০২৩ ০৮:১২

আপডেট:
২৭ মার্চ ২০২৩ ০৮:১৪

খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর তুলনা করলেন আ'লীগ নেতা!

সাম্প্রতিক সময় দলের বিশেষ বর্ধিত সভা উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী খুনী খন্দকার মোশতাক আহমদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর তুলনা করেন জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: হাফিজুর রহমান স্বপন।
এরকম একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে একই সাথে চলছে সমালোচনার ঝড়। ভিডিওতে দেখা যায়, খন্দকার মুশতাক বঙ্গবন্ধু'র রাজনৈতিক প্রতিযোগী ছিলো”বলে।

সভা সূত্রে জানা গেছে, বক্তব্য দেওয়ার সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী খুনী খন্দকার মোশতাক আহমদের সঙ্গে তুলনা করেন জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: হাফিজুর রহমান স্বপন। এসময় তিনি খন্দকার মুশতাক বঙ্গবন্ধু'র রাজনৈতিক প্রতিযোগী ছিলো”বলে মন্তব্য করেন।

এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বলেন,

এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ফেসবুকে প্রতিবাদ জানিয়ে এক স্টাটাসে তিনি বলেন,

হোক প্রতিবাদ 
খন্দকার মুশতাক
বঙ্গবন্ধু'র রাজনৈতিক প্রতিযোগী ছিলো”-জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: হাফিজুর রহমান স্বপন।
তিনি এটি কি বললেন!
সম্প্রতি জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: হাফিজুর রহমান স্বপন দলের বিশেষ বর্ধিত সভায় এ মন্তব্য করেন। বক্তব্যটি ফেসবুক ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ফলাও হয়।

 জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কি জানেন না যে বেইমান, মীরজাফর খন্দকার মুশতাক বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারী ছিলো? হত্যাকারীদের দালাল ছিলো? বেইমান মুশতাক কখনই বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক প্রতিযোগী ছিলো না। অথচ সেই খুনি মুশতাককে তিনি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক প্রতিযোগী বলে বক্তব্য দিয়ে ইতিহাস বিকৃতি ও জাতির পিতাকে হেয় করার অপচেষ্টা করেছেন। ঐ সভায় উপস্থিত থেকে যারা তার এই বক্তব্য শ্রবণ করলেন এবং খুব সহজে হজম করলেন, তারা সকলেই কিন্তু নেতা ছিলেন। কেউ উপজেলা কমিটির, কেউ ইউনিয়ন কমিটির, কেউবা নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। আবার কেউবা আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সাবেক নেতা।

জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দেয়া ঐ বক্তব্যে তিনি বেইমান, মীরজাফর, বঙ্গবন্ধু হত্যার অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পা-চাটা কুকুর খন্দকার মুশতাককে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক প্রতিযোগী বানিয়ে ফেললেন!! কেউ তার বক্তব্যের প্রতিবাদ করলেন না! খুবই আশ্চার্য! কি কারণে তারা প্রতিবাদ হলো না, সেটিই আমার বোধগম্য নয়! আওয়ামী লীগের স্বার্থান্বেষী নেতাদের অনুভূতি যে ভোঁতা হয়ে গেছে, এটি তারই প্রকৃষ্ট দৃষ্টান্ত!

 সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ফলাও হওয়ায় একজন অনলাইন এক্টিভিস্ট হিসাবে সেটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। সেই ভিডিওতে জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাঁর ঐ বক্তব্যে জাতির পিতার খুনি খন্দকার মুশতাককে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক প্রতিযোগী হিসাবে আখ্যায়িত করে ইতিহাস বিকৃতি ও জাতির পিতাকে হেয় করার অপচেষ্টা করেছেন। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল পদ ধারণ করে তিনি একথা বলেন কিভাবে? আওয়ামী লীগের একজন তৃণমূল কর্মি হিসাবে তাঁর এহেন অপতৎপরতা তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা করছি। তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানাচ্ছি।