ঢাকা শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতা হতে চায় চাঁদাবাজ মামলার আসামী


২২ মে ২০২২ ১২:৪৭

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৫৯

সহসাই ঘোষণা করা হবে সরকারী কবি নজরুল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি। কমিটিতে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়ার দৌড়ে আছেন অনেকেই। ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব চায় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তবে সংশয় হচ্ছে বিতর্কিত নেতারাই নেতৃত্বের দৌড়ে এগিয়ে আছেন। তবে এর মধ্যে আলোচনায় আছেন কলেজ ছাত্রলীগের উপ-পাঠাগার সম্পাদক ইয়াসিন আল অনিক। তার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ,ছিনতাই চাঁদাবাজির ও পুরান ঢাকায় মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর আগে বিভিন্ন সময় চাদাবাজি করতে গিয়ে একাধিকবার পত্রিকার হেডলাইন হয়েছেন তিনি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গত দুই বছর আগে জুন মাসের ২৫ তারিখে ইয়াসিন আল অনিক চাঁদা দাবি করে জবি শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসানের কাছে। ফুটপাতে কাচঁমাল ও সবজি বিক্রি করেন মাহমুদ। মাহমুদুল চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকেও ব্যাপক মারধর করে এই ছাত্রলীগ নেতা। সেই সময় সূত্রাপুর থানায় তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়। মামলার কপি ও পত্রিকার কাটিং বিজনেস ট্রিবিউনের হাতে সংরক্ষিত আছে।

এদিকে, গত বছর ৬ জুন, বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে কবি নজরুল সরকারি কলেজে চাঁদাবাজীর টাকার ভাগাভাগি নিয়ে মারামারি করেন ছাত্রলীগের উপ-পাঠাগার সম্পাদক ইয়াসিন আল অনিক। এসময় একাধিক অনলাইন জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রচারিত হয়।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, ইয়াসিন আল অনিক ও ওয়হিদ মিলে পুরান ঢাকা ও কলেজের ভিতরে ভিতরে ইয়াবাসহ সব ধরণের মাদক সাপ্লাই দেন তারা।

এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ পাওয়া গেছে, কবি নজরুল সরকারি কলেজের সামনে ফুটপাত দোকানীদের কাছ থেকে দৈনিক হাজিরা ভিত্তি টাকা নেন। প্রতি দোকান থেকে গড়ে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত তিনি চাঁদা নেন। চাঁদা দিতে অপরাগ হলে দোকানে তালা অথবা তাকে উঠিয়ে আবার নতুনদের কাছে বাড়া দেন। এভাবে নির্বিঘ্নে চলছে তার চাঁদাবাজী।

স্থানীয় ফুতপাতের এক দোকানী বলেন, অনিক মামা (ইয়াসিন আল অনিক) সে নাকি কলেজের নেতা হইবো। এখন যদি তাকে চাঁদা না দেই তাহলে নেতা হলে আমাদের বসতে দিবে না বলে হুমকি ধামকি দেয়। তিনি মাঝে মাঝে ২০/২৫ জন নিয়ে এসে ফ্রি খেয়ে যান।টাকা চাইলে বলে নেতা হচ্ছি, বেশি কথা বললে একান থেকে উঠিয়ে দিবো। তার এলাকার মন্ত্রী নাকি তাকে নেতা বানাবে। নেতা হতে নাকি অনেক টাকা লাগে, এখন যারা তাকে সাহয্যে করবে, নেতা হলে তখন তাদের হেল্প করবে।

কবি নজরূল কলেজের এক সিনিয়র নেতা বলেন, ওর বিরুদ্ধে সব ধরণের অভিযোগ আছে, ও আগাগোড়া টপ টু বটম একটা বেয়াদব।

এবিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান বলেন, কোন বিতর্কিত চাদঁবাজ মামলার আসামী বিএনপি জামায়াত পরিবারে কেউ কোন ইউনিটে শীর্ষ নেতৃত্বে আসতে পারবেনা।