ঢাকা সোমবার, ২০শে মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


রাজধানীর ভাটারায় এক আতঙ্কের নাম নাদিম হোসেন ঢালী


২৫ মার্চ ২০২১ ২০:০৯

আপডেট:
২০ মে ২০২৪ ০২:৩৭

নাদিম হোসেন ঢালী

রাজধানীর ভাটারায় এক আতঙ্কের নাম নাদিম হোসেন ঢালী। তার অত্যাচারে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪০ নং ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। নজরুল ইসলাম ঢালী দ্বিতীয় মেয়াদে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪০নং ওয়ার্ডের কমিশনা‌রের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে তার বড় ছেলে নাদিম হোসেন ঢালী বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।

চাঁদাবাজি, ভূমিদখল, ব্যবসায়ীদের নানানভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে তিনি এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

দলীয় কোন পদ-পদবী না থাকা সত্ত্বেও বারিধারা জে-ব্লক এর শহীদ রায়হান পার্কে সরকারি জমি দখল করে একটি দলীয় অফিস নির্মাণ করেছেন, মূলত সেই অফিস টি ব্যবহৃত হয় তার টর্চার সেল হিসেবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভাটারা থানা আওয়ামী লীগের একজন প্রবীণ নেতা জানিয়েছেন, "নজরুল ইসলাম ঢালী সাবেক ভাটারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং খুবই প্রখর একজন রাজনীতিবিদ। আওয়ামীলীগ এবং শেখ হাসিনার নাম উজ্জ্বল করার জন্য তিনি যথেষ্ট ভূমিকা পালন করছেন, কিন্তু তার বড় ছেলে নাদিম হোসেন ঢালীর সমসাময়িক কর্মকান্ড তার বাবার সুনাম ম্লান করে দিচ্ছে।"

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গিয়েছে, এলাকার মানুষ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে ভয় পান।গতমাসে স্বেচ্ছাসেবকলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ৪০নং ওয়ার্ডের এক নেতাকে মারধর করে খুব খারাপভাবে জখম করেন। আহত অবস্থায় ওই নেতা হাসপাতালে পড়ে থাকলেও পুলিশ নাদিম ঢালীর বিরুদ্ধে মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তীতে তিনি তদবির করে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করতে সম্মত হন। মূলত তার বাবার স্বচ্ছ রাজনৈতিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে রাজনীতির উপর মহলেও তিনি একটি সুসম্পর্ক তৈরি করেছেন।

এছাড়া এলাকার চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে তিনি ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীদের ব্যবহার করেন বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা জানান, "তার এহেন কর্মকাণ্ড আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে একেবারেই বেমানান।"

এলাকার ব্যবসায়ীরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করার সাহস পান না তার হাতে অত্যাচারিত এবং নির্যাতিত হওয়ার ভয়ে। এমতাবস্থায় এলাকার সাধারন জনগণ ও ব্যবসায়ীরা তার নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রশাসনের উপযুক্ত ভূমিকা প্রত্যাশা করছেন।

অভিযুক্ত নাদিম হোসেন  ঢালীকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি এবং কয়েক বার তার মোবাইল নম্বরটি ব্যস্ত পাওয়া যায়।