ঢাকা রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


সম্মেলনের ১৩ মাস পর কমিটি পেল সিলেট আওয়ামী লীগ


১০ জানুয়ারী ২০২১ ০৬:৩৬

আপডেট:
১৯ মে ২০২৪ ১৬:১৮

সম্মেলনের প্রায় ১৩ মাস পর পূর্ণাঙ্গ হলো সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি। এতদিন দুটি কমিটিই চলেছে কেবলমাত্র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দিয়ে। অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হয়েছে।

শুক্রবার রাতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের (উভয় শাখায় ৭৫ সদস্য) পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন।

কমিটি অনুমোদনের খবর পেয়ে রাতেই পদ পাওয়া নেতাদের পক্ষে আনন্দ মিছিল হয়েছে। তবে পদবঞ্চিত অনেক নেতা ও তাদের অনুসারীদের মধ্যে চাপা ড়্গোভ-অস‡ন্তাষ বিরাজ করছে।

২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। সম্মেলনে জেলা শাখায় অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমানকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খানকে সাধারণ সম্পাদক এবং মহানগর শাখায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদকে সভাপতি ও অধ্যাপক জাকির হোসেনকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ চার নেতাকে ৩ মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল দলের হাইকমান্ড।

কিন্তু পদের ভাগ-বাটোয়ারা ও পছন্দের প্রার্থীকে কমিটিতে স্থান দিতে দায়িত্বপ্রাপ্তরা বিড়ম্বনায় পড়েন। এ কারণে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন বিলম্বিত হয়।

জেলা কমিটিতে স্থান পেলেন যারা

জেলা কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি করা হয়েছে সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরীকে, সহসভাপতি পদে আছেন মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এমপি, আশফাক আহমেদ, শাহ ফরিদ আহমদ, নিজাম উদ্দিন, অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, ড. আহমদ আল কবির, ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদ উদ্দিন আহমদ, অ্যাডভোকেট শাহ মশাহিদ আলী ও নাজনীন হোসেন; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে হুমায়ুন ইসলাম কামাল, মোহাম্মদ আলী দুলাল ও কবীর উদ্দিন আহমদ; আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজমল আলী, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফারুক আহমদ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মবশ্বির আলী, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সৈয়দ এপতার হোসেন পিয়ার, দপ্তর সম্পাদক আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রইছ আলী, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মস্তাক আহমদ পলাশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাহেল আহমদ হীরা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সামসুন্নাহার মিনু, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কবীর উদ্দিন, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এমাদ উদ্দিন মানিক, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বুরহান উদ্দিন, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী, শ্রম সম্পাদক সাইফুর রহমান খোকন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সামসুল আলম সেলিম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. সাকির আহমদ শাহিন; সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান, সাইফুল আলম রুহেল ও রনজিত সরকার; উপদপ্তর সম্পাদক মো. মজির উদ্দিন, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. মতিউর রহমান, কোষাধ্যক্ষ শমসের জামাল এবং কার্যনির্বাহী সদস্য পদে অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, ইমরান আহমদ এমপি, লোকমান উদ্দিন চৌধুরী, মো. ইব্রাহিম, আব্দুল হাসিব মনিয়া, মোস্তাকুর রহমান মফুর, মো. নিজাম উদ্দিন, লুৎফুর রহমান, সরওয়ার হোসেন, আবু জাহেদ, আখলাকুর রহমান চৌধুরী সেলিম, সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, হাবিবুর রহমান হাবিব, শাহাদৎ রহিম, আবদাল মিয়া, অ্যাডভোকেট বদরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল আহমদ, শহিদুর রহমান শাহীন, আনহার মিয়া, আব্দুল বাসিত টুটুল, নুরে আলম সিরাজী, কামাল আহমদ, এম কে শফি চৌধুরী এলিম, আব্দুল বারী, আবু হেনা মোহাম্মদ ফিরোজ আলী, আমাতুজ জহুরা রওশন জেবিন, জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট আফসার আহমদ, অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মনসুর রশীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফুর রহমান লেবু, জাহাঙ্গীর আলম, শাহিদুর রহমান চৌধুরী, আবুল লেইছ চৌধুরী, গোলাপ মিয়া ও ডা. নাজরা আহমদ চৌধুরী দায়িত্ব পেয়েছেন।

মহানগর কমিটিতে স্থান পেলেন যারা

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি করা হয় অ্যাডভোকেট মফুর আলীকে; সহ-সভাপতি পদে আসাদ উদ্দিন আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, জিএম জেড কয়েস গাজী, ফয়জুর রহমান আলাওর, বিজিত চৌধুরী, নুরুল ইসলাম পুতুল, অ্যাডভোকেট প্রদীপ ভট্টাচার্য্য, মো. ছানাওর, হেলাল বক্স ও জগদীশ চন্দ্র দাশ; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে এটিএম হাসান জেবুল, আজাদু রহমান আজাদ ও বিধান কুমার সাহা; আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বেলাল উদ্দিন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গোলাম সোবহান চৌধুরী দিপন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মখলিছুর রহমান কামরান, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল ইসলাম এহিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আজহার উদ্দিন জাহাঙ্গীর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মহি উদ্দিন লোকমান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আসমা আহমদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. জোবের খান, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক সেলিম আহমদ সেলিম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক প্রদীপ পুরকায়স্থ, শ্রম সম্পাদক আজিজুল হক মঞ্জু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রজত কািন্ত গুপ্ত, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. হোসেন রবিন; সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ, অ্যাডভোকেট সালেহ আহমদ সেলিম ও ডা. আরমান আহমদ শিপলু; উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী রণি, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শোয়েব আহমদ, কোষাধ্যক্ষ লায়েক আহমদ চৌধুরী; কার্যনির্বাহী সদস্য পদে ড. এ কে আবদুল মোমেন এমপি, আজম খান, এস এম আবজাদ হোসেন আমজাদ, দিবাকর ধর, আবদুল আহাদ চৌধুরী মিরন, প্রিন্স সদরুজ্জামান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর, মো. আবদুল আজিম জুনেল, নুরুন নেছা হেনা, শান্তনু দত্ত সন্তু, আজম খান, মো. শাহজাহান, মোক্তার খান, অ্যাডভোকেট জাহিদ সরওয়ার সবুজ, রাহাত তরফদার, এমরুল হাসান, সুদীপ দে, সাব্বীর খান, সৈয়দ কামাল, সাইফুল আলম স্বপন, তাহমিন আহমদ, রোকসানা পারভীন, ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, জাফর আহমদ চৌধুরী, লিপন বক্স, জামাল আহমদ চৌধুরী, খলিল আহমদ, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, মহসিন চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান সুহেদ, শিপা বেগম সুপা, অ্যাডভোকেট তারান্নুম চৌধুরী, জুমাদিন আহমদ, রকিবুল ইসলাম ঝলক, মাহফুজ চৌধুরী জয় ও ইলিয়াছ আহমদ জুয়েল দায়িত্ব পেয়েছেন।