ঢাকা রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১


যে কারণে চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না!


২৩ নভেম্বর ২০১৮ ১০:০৯

আপডেট:
৫ মে ২০২৪ ২৩:৪৬

 চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ

রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক থেকে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজের নেওয়া ঋণের সুদ মওকুফ এবং ঋণ নবমবারের মতো পুনঃতফসিল করার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

বাউফলের পৌর মেয়র মো. জিয়াউল হকের করা এক রিটের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

একই সঙ্গে হাইকোর্ট ঋণ বারবার পুনঃতফসিল করার ক্ষেত্রে আইনি বাধ্যবাধকতা মানতে সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। তার সঙ্গে ছিলেন এম মাইনুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।

আদেশের পর রিটকারীর আইনজীবী এম মাইনুল ইসলাম জানান, হাইকোর্টের এ আদেশের ফলে পটুয়াখালী-২ আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি হুমকির মুখে পড়ে গেল।

তিনি জানান, ঋণ তিনবারের বেশি পুনঃতফসিল করার নিয়ম না থাকলেও সোনালী ব্যাংক থেকে মেসার্স পটুয়াখালী জুট মিলস লিমিটেডের নামে আ স ম ফিরোজের নেওয়া ঋণ ১৯৯৪ সাল থেকে এ বছর পর্যন্ত নয়বার পুনঃতফসিল হয়েছে। সর্বশেষ গত ১৯ আগস্ট আ স ম ফিরোজের ঋণের সুদ মওকুফ করে ঋণ পুনঃতফসিল করে সোনলী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনও পেয়েছে।

আইনজীবী মাইনুল জানান, ঋণের সুদ মওকুফ ও নবমবারের মতো ঋণ পুনঃতফসিলের এই সিদ্ধান্তই স্থগিত করে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ আদেশের ফলে আ ফ ম ফিরোজ এখন ঋণখেলাপি। আর আইন অনুযায়ী ঋণখেলাপি ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না।

প্রসঙ্গত, গত শতকের আশির দশকে সোনালী ব্যাংক থেকে আ স ম ফিরোজের মালিকানাধীন মেসার্স পটুয়াখালী জুট মিলস লিমিটেডের নামে নেওয়া ঋণের পরিমাণ সুদে-আসলে মিলে দাড়িয়েছে ২৬ কোটি ৮০ লাখ টাকায়। গত ১৯ আগস্ট সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এই ঋণের সুদ মওকুফ করে ঋণ পুনঃতফসিলের সিদ্ধান্ত নেয়, যা গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুমোদন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরে এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন বাউফলের পৌর মেয়র। সেই রিটের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার রুলসহ আদেশ দিলেন হাইকোর্ট।