ঢাকা রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


যাচাই-বাছাই ছাড়া কমিটি নয়


১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৫:০৩

আপডেট:
১৯ মে ২০২৪ ২০:১৬

ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণসহ সারা দেশের সাংগঠনিক যেসব জেলা কমিটি কেন্দ্রে জমা পড়েছে সেসব কমিটি আরও পর্যালোচনা করবে আওয়ামী লীগ। শুধু সাংগঠনিক জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের ঐকমত্যের ভিত্তিতে জমা দেওয়া কমিটি কেন্দ্রের পর্যালোচনা ও যাচাই-বাছাই ছাড়া অনুমোদন দেওয়া যাবে না। তাহলে সুবিধাভোগী, সুযোগসন্ধানী, দুর্নীতিবাজ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীরা সংগঠনের তৃণমূলের নেতৃত্বে চলে আসার সুযোগ থেকে যেতে পারে। তাই সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের ঐকমত্যের ভিত্তিতে কমিটি জমা দিলেও যাচাই-বাছাই ছাড়া অনুমোদন দেওয়া যাবে না। গতকাল বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত দলের সভাপতিমণ্ডলীর রুদ্ধদ্বার সভায় নেতাদের এসব নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সদস্য  এ তথ্য জানান।

উল্লেখ্য, গত বছর ২৬ অক্টোবর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩১ জেলায় সম্মেলন করেছে আওয়ামী লীগ। জেলাগুলো হলো ফেনী, নোয়াখালী, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, রংপুর, রংপুর মহানগর, যশোর, কুষ্টিয়া, ঢাকা মহানগর উত্তর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, পটুয়াখালী, নড়াইল, সিলেট, সিলেট মহানগর, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, বগুড়া, চট্টগ্রাম উত্তর, বরিশাল মহানগর, রাজশাহী, রাজশাহী মহানগর, বাগেরহাট, কুমিল্লা উত্তর, খুলনা, খুলনা মহানগর, হবিগঞ্জ, লালমনিরহাট, সাতক্ষীরা, কুড়িগ্রাম, ঝালকাঠি ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ।

সর্বশেষ গত ২ এপ্রিল আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় জেলা কমিটিগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। পরে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের চলতি মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত জেলার নেতাদের কমিটি জমা দেওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেন। এ সময়ের মধ্যে জেলার নেতাদের পর্যাপ্ত সাড়া না পাওয়ায় জমার তারিখ আবার বাড়ানো হয় চলতি মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত। দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, গতকাল বুধবার পর্যন্ত ২০টি পূর্ণাঙ্গ খসড়া জেলা কমিটি জমে পড়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে তিন ঘণ্টা ধরে চলা এই সভায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলা, সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডসহ বিস্তারিত আলোচনায় উঠে আসে। সভা শুরুর আগে গণভবনের প্রবেশদ্বারে চিকিৎক বিশেষজ্ঞ টিম ও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিয়োজিত এসএসএফ সবাইকে পরীক্ষা করে গণভবনের ভেতরে প্রবেশ করায়। বৈঠকে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দলের তৎপরতায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমাদের দলের নেতাকর্মীরা করোনাকালীন অসহায় মানুষদের পাশে যেভাবে দাঁড়িয়েছে যেমন ধান কাটা, ত্রাণ বিতরণ এগুলো নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্শ¦বর্তী দেশ ভারতসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের চেয়ে করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ অনেকখানি সফলতা দেখিয়েছে। তবে দ্বিতীয় দফায় আবারও বড় ধরনের হুমকির মুখোমুখি পড়তে হতে পারে আমাদের। সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, করোনাকালীন দুর্যোগে যেসব অসাধু চক্র সিন্ডিকেট করে ব্যবসা-বাণিজ্য করেছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া চলমান থাকবে। আবার কিছু বিষয় ইতিবাচকভাবেও দেখতে হবে।

সভায় সংগঠনকে গতিশীল করে তুলতে ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন দলীয় সভাপতি। এরই অংশ হিসেবে ৮ বিভাগের ৮ সাংগঠনিক সম্পাদকের সঙ্গে ৮ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও একজন কেন্দ্রীয় সদস্যের সমন্বয়ে কমিটি করে সাংগঠনিক সফর শুরু করার নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সংগঠন শক্তিশালী না হলে সরকারও দুর্বল হবে।