ছাড় পাবে না আ.লীগের বিদ্রোহীদের ইন্ধনদাতারা

ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি। কোনো কোনো ওয়ার্ডে একাধিক বিদ্রোহীও রয়েছেন। দল থেকে বারবার সতর্ক করার পরও শতাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী এখনো নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন। এর কারণ হিসেবে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী মহল অনুসন্ধান করে দেখেছে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বিদ্রোহীদের ইন্ধন দিচ্ছেন।
এসব বিষয় নিয়ে গতকাল শুক্রবার আওয়ামী লীগের সম্পাদকম-লীর সভায় আলোচনা হয়েছে। ওই বৈঠকে বিদ্রোহী ও তাদের ইন্ধনদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
ঢাকার দুই সিটিতে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী রয়েছেন। এর বাইরে দলের যারা প্রার্থী হয়েছেন (বিদ্রোহী) তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে দল নির্দেশ দিয়েছিল। এর পর ঢাকা
উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ বৈঠক করে বিদ্রোহীদের ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়। এতেও কাজ হয়নি। গতকাল দলের সম্পাদকম-লীর সভায় বিদ্রোহীদের ইন্ধনদাতা কয়েকজন নেতার নামও প্রকাশ করে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত হয়। তাদের মধ্যে দুজন সাংসদ হাজী মোহাম্মদ সেলিম ও ইলিয়াস মোল্লার নাম উঠে আসে।
এখন এই এমপি ও নেতাদের ডেকে সংশ্লিষ্ট বিদ্রোহী প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরাতে বলবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। নির্বচানের আগের দিন পর্যন্ত দলের এ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তাতেও কাজ না হলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র জানায়, সভায় বিদ্রোহীদের বিষয়ে কথা উঠলে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে। তাদের বহিষ্কার করব বলেছি কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা করা হয়নি। এ কারণে তারা এ সাহস পাচ্ছে। এ সময় একজন সাংগঠনিক সম্পাদক বিদ্রোহীদের পেছনে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও নেতাদের ইন্ধনের অভিযোগ তোলেন।
সরস্বতী পূজার দিনে নির্বাচনের বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। আলোচনায় হিন্দু সম্প্রদায় যেন যথাযথ পরিবেশে পূজা উদযাপন করতে পারেন সে বিষয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আন্তরিক থাকতে বলা হয়। এ পূজা হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ভোটকেন্দ্রও সাধারণত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই হয়। ঢাকার দুই সিটিতে ভোটকেন্দ্র দুই হাজার ২০০টি। এর মধ্যে ৫৪টি প্রতিষ্ঠানে প্রতি বছরই পূজার আয়োজন করা হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বসবেন আওয়ামী লীগের নেতারা। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বসে সমঝোতায় আসতে হিন্দু নেতাদের প্রস্তাব দেবে আওয়ামী লীগ।