ঢাকা শনিবার, ১০ই মে ২০২৫, ২৮শে বৈশাখ ১৪৩২


কোন প্রকার পূর্ব নোটিশ ছাড়াই ২১ জনকে অব্যহতি দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ

তদন্ত ছাড়াই ছাত্রলীগের ২১ নেতাকে অব্যাহতির অভিযোগ


১ জানুয়ারী ২০২০ ০৯:২৭

আপডেট:
১ জানুয়ারী ২০২০ ১২:৪৫

কোন প্রকার পূর্ব নোটিশ বা  তদন্ত ছাড়াই বিভিন্ন   অভিযোগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২১ নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া কেন্দ্র করে আবার বিতর্ক উঠেছে ।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর পর থেকেই  এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।  

এদিকে অব্যহতি পাওয়া নেতাদের দাবি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের কোন প্রকার পূর্ব নোটিশ ছাড়াই অব্যাহতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ।

অব্যহতি পাওয়া নেতাদের  দাবি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী  কাউকে অব্যাহতি বা বহিষ্কার পূর্বে অবশ্যই তাদেরকে পূর্ব নোটিশ দেওয়া হয়।

আমাদের  কোন প্রকার পূর্ব নোটিশ বা তদন্ত    ছাড়াই অব্যাহতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

অন্যদিকে আজ মঙ্গলবার অব্যহতি পাওয়া নেতারা দেখা করেন ছাত্রলীগের  দায়িত্ব প্রাপ্ত  আওয়ামী লীগের চার নেতার  সাথে  এবং কি কারণে দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করা হলো তাদের এই বিষয়ে জানতে চায় অব্যাহতি পাওয়া ২১ নেতা।

এ বিষয়ে তারা ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চার নেতা বলেন, আগামী ৪ঠা জানুয়ারি ছাত্রলীগের পূর্ণমিলনীর পর এ বিষয় আবার নতুন করে ২১ জনের ব্যাপারে পূর্ণ তদন্ত করা হবে।

 এ বিষয়ে আমাদের দিনকে নিশ্চিত করেন অব্যহতি পাওয়া ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তানভীর ভূঁইয়া তানজিল।

তিনি বলেন, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চার নেতার সাথে দেখা করি এবং অব্যহতির কারণ জানতে চাইলে  ।  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক  দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের চার নেতা আমাদের আশ্বস্ত করে বলেন, আগামী  ৪ঠা  জানুয়ারী ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পর বিভিন্ন অভিযোগ অব্যহতি পাওয়া ২১ জনের  ব্যাপারে পূর্ণ তদন্ত করা হবে ।

এবিষয়ে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি  আল নাহিয়ান খান জয়কে একাধিক বার ফোন দিলে তিনি রিসিভ করে নাই । 

ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ফোন দিলে তিনিও রিসিভ করেনি।     

উল্লেখ, বিতর্কিত অভিযোগে অব্যহতি পাওয়া নেতাদের মধ্যে   ছাত্রলীগের  একাধিক  ত্যাগী নেতার নাম রয়েছে, এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।  

কেউ বলেন, এভাবে দুর্দিনের নেতাদের দল থেকে সরিয়ে দিলে ভবিষ্যতে দলের কঠিন সময় কেউ ঝুঁকি নিবে না।