ঢাকা রবিবার, ১১ই মে ২০২৫, ২৮শে বৈশাখ ১৪৩২


যে কারণে বাদ পড়লেন সাঈদ খোকন


৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ ১০:৪৬

আপডেট:
১১ মে ২০২৫ ০২:১১

পুরোনো ছবি

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে নৌকার মাঝি কে হবেন-তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে জল্পনা-কল্পনা চলছিল। অবশেষে ডিএসসিসি’র মেয়র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। আর বর্তমান মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন দলীয় মনোনয়ন থেকে বাদ পড়েছেন।

অনেকে মনে করছেন, দায়িত্ব পালনকালে সাঈদ খোকনকে নিয়ে নানা বিতর্ক ওঠায় এই নির্বাচনে প্রার্থীর পরিবর্তন হয়েছে। কাউন্সিলর প্রার্থীদের বেলায়ও সাম্প্রতিক সময়ে ওঠা ক্যাসিনোকাণ্ডে সম্পৃক্ততার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

গত সাড়ে চার বছর ডিএসসিসি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সাঈদ খোকনের নাম নানা আলোচনা-সমালোচনায় উঠে আসে। তবে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেওয়ার পর তার বেফাঁস মন্তব্যে নগরবাসীর মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

এ ছাড়া দলের হাইকমান্ডেও তার কর্মকাণ্ডে অসন্তোষ ছিল। নীতিনির্ধারক পর্যায়ও তাই প্রার্থী পরিবর্তনের পক্ষে ছিল সরব। সব মিলিয়ে দক্ষিণে নৌকার নতুন মাঝি হিসেবে দল আস্থা রেখেছে ব্যারিস্টার তাপসের ওপর।

ঢাকা দুই সিটিতে বিভক্ত হওয়ার পর ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মেয়র পদে আসীন হন অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের এক সময়ের জনপ্রিয় মেয়র প্রয়াত মোহাম্মদ হানিফের ছেলে সাঈদ খোকন।

এরপর পেরিয়ে গেছে সাড়ে চার বছর। এ সময়কালে দক্ষিণের মেয়র প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিস্তর, বাস্তবায়ন হয়নি এগুলোর ন্যূনতমও।

জানা যায়, সাঈদ খোকনের সঙ্গে দূরত্ব রয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদেরও। গুটিকয় ছাড়া দক্ষিণের অধিকাংশ কাউন্সিলরই তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। দলের হাইকমান্ডেও রয়েছে তাকে নিয়ে অসন্তোষ।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, দলীয় মনোনয়ন না পাওয়া সাঈদ খোকনের নিজের কৃতকর্মেরই মাশুল।

রোববার ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। উত্তরের মেয়র পদে আতিকুল ইসলাম ও দক্ষিণের মেয়র পদে ফজলে নূর তাপসের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

রোববার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ দুই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।