ঢাকা রবিবার, ১১ই মে ২০২৫, ২৮শে বৈশাখ ১৪৩২


সাঈদ খোকনকে সবুজ সংকেত দেননি শেখ হাসিনা, মনোনয়ন পাচ্ছেন তাপস


২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৬:১১

আপডেট:
২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৬:১৪

নিজেকে সফল মেয়র দাবি করলেও তিনি মোটেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সফল মেয়র হিসাবে নাগরিকদের মন জয় করতে পারেননি।

তবে তিনি সফল হয়েছেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের যেকোনো দরপত্রে মোট ২৭ শতাংশ কমিশন নিয়ে কাজ দেয়ার ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে নিজে ২০ শতাংশ এবং ৭ শতাংশ অফিসের লোকজনের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে সফলতার সাথেই পার করেছেন। কথা হচ্ছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব সাঈদ খোকনকে নিয়ে।

আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। ঢাকা উত্তরে বর্তমান মেয়র আতিকুল ইসলামের মনোনয়ন মোটামুটি চূড়ান্ত হলেও ঢাকা দক্ষিণে প্রার্থী বদলের পথেই হাঁটছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এক্ষেত্রে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বর্তমান মেয়র সাঈদ খোকনের ভাগ্যে মনোনয়ন জুটছে না এমনটা নিশ্চতই করেছেন আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী মহল।



দলের হাইকমান্ড সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সবুজ সংকেত পেয়েই দলীয় মনোনয়ন কিনেছেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস এমপি। বঙ্গবন্ধু পরিবারের এই সদস্য যথেষ্ট ক্লিন ইমেজ নিয়েই রাজনীতি করে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে এবারের সিটি নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসই পাচ্ছেন দক্ষিণের মেয়র পদে মনোনয়ন।

এদিকে, প্রথমদিন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম না কিনলেও গতকাল (বৃহস্পতিবার) কিনেছেন বর্তমান মেয়র সাঈদ খোকন। মেয়র সাঈদ খোকন ইতিমধ্যেই গণমাধ্যমে নিজেকে ঢাকা দক্ষিণের সফল মেয়র হিসাবে দাবি করেছেন। এমনকি আবেগাক্রান্ত হয়ে চোখের জলও ফেলেছেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখাও করেছেন।

সেখান থেকে বের হয়ে তিনি নিজের অনুসারীদের বলেছেন, তিনিই মনোনয়ন পাচ্ছেন এবং আওয়ামী লীগ সভানেত্রী তাকে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন।

তবে গণভবনের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র বলেছে, সাঈদ খোকনকে তেমনভাবে কোনো সবুজ সংকেতই দেননি প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সাঈদ খোকনকে শুধু বলেছেন, ‘এখন যাও, রাজনীতির মাঠে থাকো, আমি দেখবো।’

উল্লেখ্য, মেয়র সাঈদ খোকন দায়িত্ব পালনকালে নগরবাসীর সাথে তেমনভাবে কাজ করেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি ডেঙ্গু মোকাবিলায় তিনি সবচে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছিলেন। এমনকি নিজের ব্যর্থতার দায় স্বীকার না করে বেফাঁস মন্তব্য করে সরকারের ইমেজও ক্ষুন্ন করার পাঁয়তারা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে নিজেকে সফল মেয়র দাবি করা সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে।