ঢাকা রবিবার, ১১ই মে ২০২৫, ২৮শে বৈশাখ ১৪৩২


ডাকসুর ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া সোহেলের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, আছেন আইসিইউতে


২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ২২:৫৮

আপডেট:
১১ মে ২০২৫ ০৫:০০

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (ডাকসু) মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলায় আহত এপিএম সোহেলের মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।

সফলভাবেই তার অস্ত্রোপচারের সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেডিকেল বোর্ড প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. রাজিউল হক।

তিনি জানান, সোহেলের অবস্থা শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না তা বোর্ড মিটিংয়ে দুপুরেই বলা হয়েছিল। এরপর তার মাথার আরও একটি সিটিস্ক্যান করা হয়।


মেডিকেল বোর্ড প্রধান বলেন, সোহেলের মস্তিষ্কে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ দেখা যাওয়ায় বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাত ১০টার দিকে তার মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর তাকে পর্যবেক্ষণের জন্য নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।



ডাকসুতে হামলার ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম-আহ্বায়ক এপিএম সোহেলকে ডাকসু ভবনের তৃতীয় তলা থেকে নিচে ফেলে দেওয়া হয়। এতদিন তাকে ঢাকা মেডিকেলের কেবিনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।

প্রসঙ্গত, রবিবার দুপুর ১২টার দিকে ডাকসু ভবনে হামলা চালায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এতে ভিপি নুরুল হক নুরসহ তার সংগঠনের অন্তত ২৪ জন আহত হন।

হামলার প্রায় ৫০ মিনিট পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আহতদের মধ্যে তুহিন ফারাবিকে (২৫) আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। ভিপি নুর ও এপিএম সোহেলকে রাখা হয় কেবিনে।

আরেক শিক্ষার্থী আমিনুরকে রাখা হয়েছে ওএসইতে (ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি)।
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ বলছে, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ব্যানারে ছাত্রলীগ এ হামলা চালিয়েছে।



তবে ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ বলছে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা ‘দুর্নীতিবাজ’ ভিপিকে প্রতিহত করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুই দফায় নুরুল হক ও তার সহযোগীদের রড, লাঠি ও বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। প্রথম দফায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ডাকসু ভবনে ঢুকে তাঁদের পেটান।

এরপর ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক (ডাকসুর এজিএস) সাদ্দাম হুসাইন ঘটনাস্থলে আসেন। তাদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় দফায় হামলা ও মারধর করা হয়। এ সময় ডাকসু ভবনেও ভাঙচুর চালান ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী।