বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ডুমুরিয়া উপজেলা সনাতন শাখার উদ্যোগে হিন্দু সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ডুমুরিয়া উপজেলা সনাতন শাখার উদ্যোগে হিন্দু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় ডুমুরিয়া স্বাধীনতা চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ডুমুরিয়া উপজেলা সনাতন শাখার সভাপতি বাবু কৃষ্ণ নন্দীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট মহাসচিব এ্যাড. গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক।
সমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জনগণের ইচ্ছে যদি বিজয়ী হয় তবে আমি ডুমুরিয়ার অসমাপ্ত কাজ করে উন্নয়নের একটি মডেল ডুমুরিয়া তৈরি করার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ, ডুমুরিয়ার হিন্দু ভাইয়েরা প্রমাণ করেছেন হিন্দু মুসলিম মিলে মিশে সমান অধিকার নিয়ে প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশে বসবাস করতে চায়,বারবার যারা ক্ষমতায় গিয়েছে তারা হিন্দু ভাইদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে নাই। এই ডুমুরিয়া একটা সময় ছিলো সন্ত্রাসের জনপদ,আমি এমপি নির্বাচিত হয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কাজ করেছিলাম,চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সন্ত্রাসীরা আমাকে ফোন করে, চিঠি লিখে হুমকি দিয়েছিল আমি যেন ডুমুরিয়ায় না আসি। তবুও আমি জীবনের পরওয়ার না করে এই ডুমুরিয়াকে সন্ত্রাস মুক্ত করেছিলাম।
আমি যদি জনগণের ভোটে ডুমুরিয়া-ফুলতলার এমপি নির্বাচিত হই, তাহলে ডুমুরিয়ার রাস্তাঘাট মসজিদ মন্দিরসহ ডুমুরিয়ার অসমাপ্ত কাজ করে ডুমুরিয়াকে একটি রোল মডেল হিসেবে রূপান্তর করবো। নতুন বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছে যদি বিজয়ী হয় এই ডুমুরিয়ার অসমাপ্ত কাজ করে উন্নয়নের ডুমুরিয়াকে আমি একটি মডেল ডুমুরিয়া তৈরি করার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ। ডুমুরিয়ার ১৪ টা ইউনিয়নে দাঁড়িপাল্লার জোয়ার দেখে কোন কোন রাজনৈতিক দলের বন্ধুর লোকেরা নাকি ভয়ভীতি হুমকি দিচ্ছেন, তারা বলছেন তোমরা যদি জামায়াতের মিটিয়ে যাও তোমাদের ঠ্যাং ভেঙ্গে দিবো। আমি আপনাদেরকে কথা দিচ্ছি আপনাদের ভাই হিসেবে পাশে থাকবো, হুমকিতে কাজ হবে না। আমি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বলেছি আমার হিন্দু ভাইদের যদি কোন ক্ষতি হয়,তাহলে জনগণ কিন্তু প্রতিরোধ করে তুলবে।
দেশের মানুষ এখন পরিবর্তন চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশবাসী লাঙল, ধানের শীষ ও নৌকার শাসন দেখেছে। কিন্তু দুর্নীতি থেকে মুক্তি পায়নি। এবার মানুষ দাঁড়িপাল্লার পক্ষে ভোট দেবে।
জামায়াত নেতা দাবি করেন, নভেম্বরেই গণভোট দিতে হবে এবং নির্বাচনের আগে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে। তার ভাষায়, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও নভেম্বরে গণভোটের মাধ্যমেই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে—এতে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণ হবে।
এছাড়াও সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন,ডুমুরিয়া উপজেলা সনাতন শাখার সহসভাপতি ডা. হরিদাস মন্ডল,বাবু কানাই লাল কর্মকার। ডুমুরিয়া উপজেলা সনাতন শাখার সেক্রেটারী প্রভাষক প্রশান্ত কুমার মন্ডল,অধ্যক্ষ দেব প্রসাদ মন্ডল। ডুমুরিয়া উপজেলা সনাতন শাখার কোষাধ্যক্ষ গৌতম কুমার মন্ডল,ডুমুরিয়া ইউনিয়ন সনাতন শাখার সভাপতি অরুন কুমার আচার্য,ধামালিয়া ইউনিয়ন সনাতন শাখার সভাপতি গোবিন্দ কুন্ডু,রঘুনাথপুর ইউনিয়ন সনাতন শাখার সভাপতি কার্তিক চন্দ্র সরকার,রুদাঘরা ইউনিয়ন সনাতন শাখার সভাপতি বিপ্লব সরকার,খর্ণিয়া ইউনিয়ন সনাতন শাখার সভাপতি নারায়ন রাহা, আটলিয়া ইউনিয়ন সনাতন শাখার সভাপতি অনিমেষ মন্ডল,মাগুরঘোনা ইউনিয়ন সনাতন শাখার সভাপতি বিশ্বনাথ দাস,শোভনা ইউনিয়ন সনাতন শাখার সভাপতি স্বদেশ হালদার,শরাফপুর ইউনিয়ন সনাতন শাখার সভাপতি গোবিন্দ কুমার বিশ্বাস,সাহস ইউনিয়ন সনাতন শাখার সভাপতি তন্ময় মন্ডল,ভাঙারপাড়া ইউনিয়ন সনাতন শাখার সভাপতি ডাঃ নিত্যরঞ্জন রায়,রংপুর ইউনিয়ন সনাতন শাখার সভাপতি অরুন কুমার মন্ডল,গুটুদিয়া ইউনিয়ন সনাতন শাখার সভাপতি মনোরঞ্জন মন্ডল,মাগুরখালী ইউনিয়ন সনাতন শাখার সভাপতি প্রদীপ কুমার সরকারসহ সনাতন শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ শেষে দাঁড়িপাল্লার বিশাল একটি মিছিল স্বাধীনতা চত্বর থেকে শুরু হয়ে ডুমুরিয়ার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেষ হয়।
