ঢাকা শুক্রবার, ২২শে আগস্ট ২০২৫, ৮ই ভাদ্র ১৪৩২


উপদেষ্টা পরিষদে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ অনুমোদন


প্রকাশিত:
২১ আগস্ট ২০২৫ ১৮:৪০

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক

‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

আজ বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে সংস্কার কমিশনসমূহের সুপারিশ বাস্তবায়ন অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করার পাশাপাশি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের কূটনৈতিক ও অফিশিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তির একটি খসড়াও অনুমোদন দেওয়া হয়।

জানা যায়, রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) অধ্যাদেশের সংশোধনী অনুযায়ী, নতুন দুটি বিভাগের মধ্যে ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ’-এর প্রধানের পদে এনবিআর-এর বর্তমান কর্মকর্তাদের মধ্য থেকেই নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে ‘রাজস্ব নীতি বিভাগ’-এ সরকার চাইলে এনবিআর অথবা যোগ্যতা সম্পন্ন অন্য কোনো বিভাগ থেকে নিয়োগ দিতে পারবে।

মূল অধ্যাদেশে ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ’-এর প্রধান পদে রাজস্ব আহরণ সংক্রান্ত কাজে অভিজ্ঞদের ‘অগ্রাধিকার’ দেওয়ার কথা থাকলেও সংশোধনীতে বলা হয়েছে, ‘রাজস্ব আহরণ সংক্রান্ত কাজে অভিজ্ঞতা রয়েছে- এরকম কোনো যোগ্য সরকারি কর্মকর্তাকে ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনে নিয়োগ দেওয়া হবে।’

এর মাধ্যমে মূলত এনবিআরের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকেই এই বিভাগের প্রধান নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে ‘রাজস্ব নীতি বিভাগ’-এর প্রধান হিসেবে আগে ‘উপযুক্ত কোনো কর্মকর্তাকে’ নিয়োগের কথা বলা ছিল। নতুন সংশোধনীতে- ‘সরকার সামষ্টিক অর্থনীতি, বাণিজ্য নীতি, পরিকল্পনা, রাজস্ব নীতি বা ব্যবস্থাপনা কাজে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কর্মকর্তাকে রেভিনিউ পলিসি ডিভিশনে নিয়োগ দিতে পারবে’ – বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর ফলে এক্ষেত্রে সরকার চাইলে এনবিআর অথবা অন্য কোনো বিভাগের যোগ্য কর্মকর্তাকে এ বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবে।

এছাড়া উভয়-বিভাগে কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রেও সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত মে মাসে সরকার এনবিআর বিলুপ্ত করে নতুন অধ্যাদেশ জারির পর এনবিআরের বর্তমান কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। তাদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে অধ্যাদেশটি সংশোধন করা হয়েছে।