ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


বঙ্গবন্ধুর ছবি ছিড়ে ফেলার অভিযোগ চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে!


৮ আগস্ট ২০২২ ০৯:০৩

আপডেট:
২৮ মার্চ ২০২৪ ২০:২৯

রাজধানীর ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শোকের মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বিলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। গত (২আগস্ট) আনুমানিক দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেএ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়,গত ২আগস্ট দুপুর আনুমানিক ২ টা বাজে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও  প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনার ছবি সম্বিলিত ব্যানার পোস্টার ছিড়ে অভিযোগ উঠেছে দুই চিকিুৎসকের বিরুদ্ধে,  যখন ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীরা ক্লাসে ব্যস্ত তখন ১০/১২ জনের  ন্টার্নী চিকিৎসক পরিচয়ধারীসহ কিছু ডাক্তার আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধু ও  প্রধানমন্ত্রীর ছবি সংবলিত পোস্টার ব্যানার গুলো ছিড়ে ফেলে।

এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা একত্রিত হয়ে হাসপাতালের ডিরেক্টর ডাঃ তানভীর আরেফিন এর কাছে বিচার দাবি করে। তারই ধারবাহিকতায় ডাঃ নাজমুলকে ডাকা হলে প্রথমে তিনি তা অস্বীকার করেন, পরে ঘটনার সাথে সরাসরি যুক্ত সিনিয়র ওয়ার্ড মাস্টার মহিবুল্লাহকে ঢাকা হলে তিনি গভর্নিং বডির সদস্যদের সামনে অকপটে স্বীকার করেন নাজমুল আরেফিন এর নাম, 
উল্লেখ্য যে এই ব্যানারগুলোতে এই শাখার সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও অত্র এলাকার এমপি ও হাসপাতাল ও কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যানের ছবি ছিল।
ডাঃ নাজমুল আরেফিন তানভীরের এমন জঘন্যতম অন্যায় প্রমানিত হওয়ায় হাসপাতালের ডিরেক্টর নিজে দ্বায়িত্ব নিয়ে বিষয়টি সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিলে উক্ত শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ ছাত্রছাত্রীদেরকে ক্লাসে পাঠিয়ে দেয়। তার কিছুক্ষণ পরেই দুপুর ২টায় ছাত্রলীগের কর্মীদের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে আবারও ডাঃ নাজমুল আরেফিন তানভীর এর উস্কানিতে ইন্টার্নী চিকিৎসকরা কলেজ ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণের ছাত্রলীগের সকল ব্যানার ছিড়ে ফেলে যার সকল প্রমাণ (ছবি ও ভিডিও) বিদ্যমান। 

এই বিষয়ে পরবর্তীতে হাসপাতাল গভর্নিং বডির পক্ষ থেকে একটি ডিসিপ্লিনারী কমিটি করে বিচারের দ্বায়িত্ব দেয়া হয়। জানা গেছে এই ডাঃ নাজমুল আরেফিন তানভীর হাসপাতালের বিভিন্ন টেনডারবাজির মত কাজেও অনৈতিকভাবে জড়িত এবং হাসপাতালের উন্নয়নের নামে টাকা লুটপাটেরও অভিযোগ আছে তার নামে। ছাত্রছাত্রীদের কথা বিবেচনা করে আপাতদৃষ্টিতে হাসপাতাল গভর্নিং বডির সম্মানিত সদস্যদের প্রতি পূর্ণ আস্তা রেখে ছাত্রলীগ তাদের সকল সৃষ্টিশীল কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে এবং এবং তাদের একটাই দাবি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন ছাত্রলীগের পতাকা তলে কোন স্বাধীনতার বিপক্ষের কলঙ্কের বীজ বপন করতে না পারে।

এ বিষয়ে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি কৌশিক দে কে ফোন করে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, যারা এগুলো ঘটিয়েছে, কখনোই তারা আওয়ালীগের আদর্শ বুকে ধারণ করতে পারে না, তাই আমি মনে করি, তারা জামাত-শিবিরের এজেন্ট, এবং জামাত শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য তারা আওয়ামী লীগের লেবাস পড়ে আছে, আমি এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি ,

এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ তানভির হাসান নাবিল বলেন, আমার ব্যক্তিগত ছবি ছিড়ে ফেললে আমি কষ্ট পেতাম না, আমার আবেগের জায়গা, বাঙালি জাতির আশ্রয়ের শেষ আশ্রয়স্থল, জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এবং স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন যখন ছিড়ে ফেলা হয়, তখন আমি চুপ করে বসে থাকতে পারিনা, আমি এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ, এবং এই নব্য রাজাকারদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবি করছি।

এবিষয়ে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল সামসুল আরেফিন বলেন, এটা আমার নজরে এসেছে, কাজগুলো এতদম ঠিক করে নাই, আগামীকাল মিটিংয়ে এই আলোচনা হবে।

অন্যদিকে এই বিষয়ে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভাইস প্রিন্সিপাল মিজানুর রহমান কল্লোল বলেন, হাসপাতাল প্রশাসনের নির্দেশেই  ক্যাম্পাসের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে এসব ব্যানার ও অন্যান্য সবকিছু সরানো হয়েছে। 

এছাড়াও অভিযুক্ত দীপ্ত সাহা, সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি সিফাত রহমান , ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ তাদের মোবাইলে কয়েকদফা ফোন দিলেও তারা রিসিভ করেনি।