ঢাকা বুধবার, ২২শে মে ২০২৪, ৮ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


বঙ্গবন্ধুর জম্মদিনে গাছ রোপণ অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর স্নেহের রাজুর!


১৮ মার্চ ২০১৯ ০১:৩৬

আপডেট:
২২ মে ২০২৪ ০১:৫৪

বঙ্গবন্ধুর জম্মদিনে গাছ রোপণ অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর স্নেহের রাজুর!

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ শুরু হচ্ছে আজ থেকে। আজ তাঁর শততম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস।
এই বিশেষ দিনে তাৎপর্য বৃদ্ধি এবং সবুজ শ্যামল বাংলাদেশ গঠনের জন্য ফেসবুকের বিষ্ময় বালক প্রধানমন্ত্রীর স্নেহের রাজু সবাইকে একটি করে চারা গাছ রোপণের জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করেছেন ।

তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইল Md Raju Ahmed Ovi হতে এক মিনিট ৫০ সেকেন্ডের একটি অনুরোধ বার্তা শেয়ার করেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামীলীগ তথা জাতি,বর্ণ, গোত্র দল মত নির্বিশেষে প্রত্যেকে একটি করে চারাগাছ রোপনের মাধ্যমে সবুজ শ্যামল সোনার বাংলাদেশ গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য,রা জু আহমেদ। সম্প্রতি তাঁর ভালোবাসার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিতে ইচ্ছাকৃত লাগানো রঙ সে টিস্যু দিয়ে পরিস্কার করছিল। বিষয়টি দেখতে পেয়ে সন্দেহবশ গাজীপুর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেহেদী সরকার ভিডিও করে রাজুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু রাজু জানায় সে টিস্যু দিয়ে নেত্রীর বিকৃত ছবি পরিস্কার করছিল। এতে মেহেদী বিব্রত হয়; নিজের ভুল বুঝতে পারে। পরে সে ফেসবুকে ভিডিওটি আপলোড করে। এক ওয়াল, দুই ওয়াল ঘুরে ভিডিওটি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভিডিওটি সাজানো কিনা তা তদন্ত শুরু হয়। তখন বেরিয়ে আসে চরম বাস্তবতায় আর ভালোবাসার এক গল্পের ইতিহাস।

রাজুর বাবা পেশায় একজন চা বিক্রেতা। মানুষের সহযোগিতায় সে লেখাপড়া করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ পায়। এরপর উত্তরায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইইউবিএটিতে ভর্তি হয়। রাজুর পরিবারের কথা শুনে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিনাবেতনে পড়ার সুযোগ দেয়। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সে চাকুরী খুঁজতে থাকে। কিন্তু চাকুরী আর হয় না।

গতমাসে আয়কর মেলা উপলক্ষ্যে গাজীপুরে বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামের সামনে প্লাক্যাড ও ফেস্টুন লাগানো হয়। যেখানে একটি ছবি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখে ইচ্ছেকৃতভাবে লাল রঙ লাগিয়ে দেয়া হয়। রাজু সেটি দেখে আপনমনে রঙ মুছতে থাকে। এরপর তৈরী হয় ইতিহাস।

ফেসবুকের কল্যাণে তরুণদের কাছে রাজু আহমেদ এখন পরিচিত নাম। বন্ধুরা অনেকেই এখন তার সাথে ছবি তুলতে গর্ববোধ করে। গত ১৪ ডিসেম্বর গণভবনে ইশতেহার কমিটির বৈঠক শেষে ইশতিহার কমিটির সদস্য দীপক কুমার বনিক দীপু প্রধানমন্ত্রীকে রাজুর ভালোবাসার ভিডিও দেখান। প্রধানমন্ত্রী দেখে অবাক হন এবং রাজুর সাথে দেখা করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন।

সেদিন রাতে ইশতেহার টিমের এক সদস্য এবং যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার নাজমুল হোসেন ফেসবুকে যুবকটির সন্ধান চাই সংক্রান্ত পোস্ট দেন। সেই সাংবাদিকের বন্ধু গাজীপুরের একটি গার্মেন্টের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা রাজুর সন্ধান দেন। এরপর রাজুর সাথে যোগাযোগ করে তাকে ঢাকায় আসতে বলেন আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাতের সুযোগ পান রাজু আহমেদ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেদিনের ঘটনা শুনে বিষ্মিত হন। তার পরিবারের খোঁজখবর নেন। এরপর রাজুকে ফার্মার্স ব্যাংকে চাকুরীর ব্যবস্থা করে দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাতের পর আপ্লুত রাজু। তিনি মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রীর ভালোবাসায় বিষ্মিত। তিনি জানান, এদেশের তরুণদের মনের কথা বুঝতে পেরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাকুরীতে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করেছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি তরুণ প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের পক্ষে নৌকায় ভোট চেয়েছেন।