ঢাকা বুধবার, ১লা মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১


দ্বিতীয় দফার সংলাপে অংশ নিতে গণভবনে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা


৭ নভেম্বর ২০১৮ ১৬:৫৪

আপডেট:
১ মে ২০২৪ ১৫:১৪

আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় সংলাপে বসতে গণভবনে পৌঁছেছে ড. কামালের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল।

আজ বুধবার (৭ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনের ব্যাংকুয়েট হলে এই সংলাপ শুরুর কথা রয়েছে। এ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টা থেকেই গণভবনে ঢুকতে শুরু করেছেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা।

এর আগে, সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর বেইলি রোডের বাসা থেকে গণভবনের উদ্দেশে রওনা দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু ও নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী। ঐক্যফ্রন্টের অন্য নেতারাও একই সময়ে গণভবনের পথে রওনা দেন।


ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের মধ্যে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রথম গণভবনে পৌঁছান নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। এর কিছুক্ষণ পরই গণভবনে পৌঁছান বিএনপির স্থায়ী ক‌মি‌টির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হো‌সেন। এর পরপরই ড. কামাল হোসেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ঐক্যফ্রন্টের অন্য নেতারাও গণভবনে প্রবেশ করতে থাকেন।

কাছাকাছি সময়েই গণভবনে উপস্থিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতারাও। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম, স্থায়ী কমিটির সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমসহ অন্যরা এসময় গণভবনে প্রবেশ করেন।

দ্বিতীয় দফা সংলাপেও ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকছেন ড. কামাল হোসেন। তার সঙ্গে ১১ সদস্যের এই প্রতিনিধি দলে আরও থাকছেন বিএনপি মহাসচিব ও ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর; বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ; জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন; গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু ও নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী; নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ও এস এম আকরাম এবং জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা সুলতান মোহাম্মদ মুনসুর আহমেদ।

এর আগে ১ নভেম্বরের সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে তাদের সাত দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। সংলাপ শেষে গণভবন থেকে বেরিয়ে উভয় পক্ষের নেতাদের বড় একটি অংশই গণমাধ্যমে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানান। তাতে একদিকে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোট এই সংলাপকে ‘খোলামেলা’ ও ‘ফলপ্রসূ’ বলে অভিহিত করলেও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা এই সংলাপে ‘আশাপ্রদ’ কিছু দেখছেন না বলেই জানান।

সংলাপ শেষে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতারা জানান, সভা-সমাবেশসহ সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কোনো ধরনের বাধা দেওয়া হবে না। পাশাপাশি বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার এবং তাদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলার বিষয়েও তালিকা চাওয়া হয়েছে সরকারের কাছে। বিষয়গুলো বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর বাইরে নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকের উপস্থিতিতে কোনো ধরনের আপত্তি নেই বলেও জানানো হয়েছে ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে।

এর বাইরে খালেদা জিয়ার মুক্তি, সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন, নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনামোতায়েনের মতো দাবিগুলো নিয়ে ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে ইতিবাচক আশ্বাস পায়নি ঐক্যফ্রন্ট। ওই রাতেই ড. কামাল আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে জানান, প্রধানমন্ত্রী সংলাপে লম্বা বক্তৃতা দিলেও তা থেকে খুব বেশি কিছু পায়নি ঐক্যফ্রন্ট। পাশাপাশি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও জানান, সংলাপ নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট নন।