ঢাকা বুধবার, ১লা মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১


সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত তফসিলের পর: ইসি সচিব


৬ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:২২

আপডেট:
৬ নভেম্বর ২০১৮ ০৫:০০

ইসি সচিব

তফসিল ঘোষণার পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ।

সোমবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনারের বৈঠক শেষে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনী সোতায়েনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা সেনাবাহিনী মোতায়নের দাবি জানিয়েছেন, সিইসি তাদের জানিয়েছে এখনো তফসিল ঘোষণা হয়নি। তফসিলের পর নির্বাচন কমিশনাররা বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।


ইসি সচিব বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলেছেন ৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের সংলাপ হবে। তারা অনুরোধ করেছেন, নিবাচন কমিশন যাতে একটু লক্ষ্য রাখে। এর পরপরই যাতে তফসিল ঘোষণা করা হয়। যেহেতু তফসিল ঘোষণার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের। তাই কমিশন সেটা খেয়াল করে দেখবেন, আগামি ৮ তারিখের বৈঠকে সংলাপের ফলাফল প্রতিফলিত হতে পারে।

তিনি বলেন, এখন ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি রয়েছে।

তফসিল পেছানোর সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘এই মুহূর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না। ৮ নভেম্বর সকাল ১০টায় কমিশন সভা হবে। ওই সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

জাতীয় নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র, ভোটারদের নিরাপত্তা এবং পোলিং এজেন্টদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলেও জানান সচিব।


হেলালুদ্দীন বলেন, তাদের দাবি অনুযায়ী কেন্দ্রে কেন্দ্রে যে রেজাল্ট দেওয়া হবে, সেজন্য পোলিং এজেন্টদের স্বাক্ষর গ্রহন করে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। তাদের সঙ্গে আন্তরিক পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। বিদেশী পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়েও তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।

ইভিএম বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কমিশন বলেছে সীমিত পরিসরে শহর এলাকায় ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে সেটা কোন কোন কেন্দ্রে ব্যবহার হবে তা পরে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

কমিশনের প্রতি ঐক্যফ্রন্টের আস্থা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন একমাত্র প্রতিষ্ঠান যেটি সাংবিধানিক ও আইনানুগভাবে নির্বাচন পরিচালনা করে থাকে। তারা বলেছে, নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের আস্থা আছে। সেজন্যই তারা এখানে এসেছেন। অত্যন্ত আন্তরিকভাবে আলোচনা করেছেন।

তফসিলের তারিখ পেছালে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, আমাদের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি রয়েছে। ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতিও রয়েছে। তারা নির্বাচন পেছাতে বা আগাতেও বলেননি। নির্বাচন কমিশন সবকিছু বিবেচনা করেই ৮ তারিখ তফসিলের তারিখ ঠিক করেছে।

এর আগে বিকেলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বৈঠক করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। আ স ম রবের নেতৃত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঐক্যফ্রন্ট নেতা সুলতান মনসুর, নঈম জাহাঙ্গীর।

অন্যদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চার নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, কবিতা খানম, রফিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদ