যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের সঙ্গে ফের যুদ্ধের সম্ভাবনা ইরানের

ইরানের সর্বোচ্চ নেতার শীর্ষ সামরিক উপদেষ্টা ইয়াহ্যা রহিম সফাভি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েলের সঙ্গে আরও একটি যুদ্ধ হতে পারে। তিনি বর্তমান শান্তি স্থগিত যুদ্ধের একটি পর্যায় মাত্র হিসেবে দেখেছেন।
সফাভি বলেন, ‘আমরা কোনো চুক্তিতে নেই, আমরা যুদ্ধের একটি পর্যায়ে আছি। আমাদের এবং যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েলের মধ্যে কোনো প্রটোকল, নিয়ম বা চুক্তি লেখা হয়নি। আমি মনে করি, আরও একটি যুদ্ধ হতে পারে, এবং তারপর হয়তো আর কোনো যুদ্ধ হবে না।’
তার এই মন্তব্য এসেছে এমন সময় যখন উভয় পক্ষের সামরিক নেতারা কড়া অবস্থান নিয়েছেন। ইসরায়েলের সেনা প্রধান ভবিষ্যতে আরও আঘাতের জন্য প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন, আর ইরানের জেনারেল স্টাফ কোনো ভবিষ্যত হামলার ক্ষেত্রে ‘অত্যন্ত শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া’ দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
সফাভি আরও বলেছেন, ইরানকে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে শক্তিশালী হতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমেরিকান ও জায়োনিস্টরা বলছে তারা শক্তির মাধ্যমে শান্তি সৃষ্টি করে; তাই ইরানকেও শক্তিশালী হতে হবে। কারণ প্রকৃতির নিয়মে দুর্বলরা পিষ্ট হয়।’
ইরানের নেতৃত্ব এখনও দৃঢ় অবস্থান নিয়ে চলেছে, যদিও দেশীয় বিদ্যুৎ ও পানির সংকট এবং সম্ভাব্য নতুন জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞার হুমকি রয়েছে। সফাভি বলেন, “আমাদের কূটনীতি, মিডিয়া, ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও সাইবার কৌশলকে শক্তিশালী করতে হবে। আমরা worst case scenario অনুযায়ী পরিকল্পনা করি এবং প্রস্তুতি নেই।”
দুই মাস আগে, ১৩ জুন ইসরায়েল একটি অপ্রত্যাশিত সামরিক অভিযান চালিয়ে সামরিক ও নিউক্লিয়ার স্থাপনা লক্ষ্য করে শতাধিক সামরিক কর্মী, বিজ্ঞানী ও সাধারণ মানুষ নিহত হয়। ইরান পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, এতে ৩১ জন নাগরিক এবং একজন ছুটি থাকা সৈন্য নিহত হন। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ১২ দিনের সংঘর্ষে ইরানের ১,০৬২ জন নিহত হন, যার মধ্যে ৭৮৬ সেনা ও ২৭৬ জন সাধারণ মানুষ।
২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের গুরুত্বপূর্ণ নিউক্লিয়ার স্থাপনা ফোর্ডও, নাটানজ ও ইসফাহানে বোমাবর্ষণ চালায়। এরপর ২৪ জুন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১২ দিনের বিমান যুদ্ধ শেষ হয়। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এই সংঘর্ষে উভয় দেশের অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সূত্র: মেহের নিউজ এজেন্সি