ঢাকা সোমবার, ১৮ই আগস্ট ২০২৫, ৩রা ভাদ্র ১৪৩২


গাজাবাসীর ভিসা স্থগিতের কৃতিত্ব দাবি করা কে এই লরা লুমার


প্রকাশিত:
১৭ আগস্ট ২০২৫ ১৭:৪৯

ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ কট্টরপন্থি প্রচারক লরা লুমার।ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর স্থানীয় সময় শনিবার (১৬ আগস্ট) এক ঘোষণায় জানায়, তারা এখন থেকে গাজার মারাত্মকভাবে অসুস্থ শিশুদের চিকিৎসার জন্য ভিসা দেওয়া বন্ধ করবে।

মূলত এই সিদ্ধান্তটি এসেছে ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ কট্টরপন্থি প্রচারক লরা লুমারের অনলাইন প্রচারণার পর, যিনি নিজেকে ‘গর্বিত ইসলামবিদ্বেষী’ বলে পরিচয় দেন।

কট্টর ইসলামবিদ্বেষী কর্মী লরা লুমার গাজাবাসীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক ভিসা স্থগিত করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং এই সিদ্ধান্তের কৃতিত্ব সম্পূর্ণ নিজের বলে দাবি করেছেন।

রোববার এক্সে দেওয়া এক পোস্টে লুমার এই সিদ্ধান্তকে ‘চমৎকার খবর’ হিসেবে আখ্যা দেন এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় তিনি ‘প্রো-হামাস এনজিওগুলোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে আগ্রাসনের’ প্রতি দ্রুত সাড়া দেওয়ার জন্য রুবিওর প্রশংসাও করেন।

তার ভাষায়, ‘আশা করি, সব গাজাবাসীই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত হবে।’

পাশাপাশি লুমার মন্তব্য করেন, ‘ফিলিস্তিনিরা চাইলে অন্য কোথাও চিকিৎসা নিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের হাসপাতাল নয়!’

এর আগে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘গত কিছুদিনে গাজার কিছু মানুষকে অস্থায়ী চিকিৎসা ও মানবিক ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে যেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে, তার পূর্ণ ও বিস্তৃত পর্যালোচনার জন্য গাজা থেকে আগত সব ভিজিটর ভিসা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।’

লরা লুমার, যাকে একসময় এক্স থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, কিন্তু ইলন মাস্কের মালিকানায় আবার এই প্ল্যাটফর্মে ফিরেছেন তিনি।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৫ আগস্ট) একাধিক পোস্টে তিনি গাজার মারাত্মকভাবে আহত শিশু ও তাদের পরিবারের ভিডিও শেয়ার করেন, যারা এই মাসে হিউস্টন ও সান ফ্রান্সিসকোতে চিকিৎসার জন্য পৌঁছেছে।

লরা ভিডিওগুলোর সঙ্গে ভুল দাবি করে বলেন, এসব শিশু ও তাদের পরিবার ‘জিহাদি স্লোগান দিচ্ছে’ এবং তারা ‘সন্ত্রাসী সংগঠন হামাসের বাঁশি বাজাচ্ছে’।

মূলত মার্কিন এই চিকিৎসা সহায়তা কর্মসূচি বহু বছর ধরে গাজার শিশুদের জন্য জীবনরক্ষাকারী ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে আসছিল।

তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো এখন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্ত গাজার মানবিক সংকটকে আরও গভীর করবে। সেখানে ইতোমধ্যেই চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে এবং হাজার হাজার শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে। সূত্র: আল জাজিরা