ঢাকা সোমবার, ৭ই জুলাই ২০২৫, ২৪শে আষাঢ় ১৪৩২


ইয়েমেনের বন্দর ও বিদ্যুৎকেন্দ্র লক্ষ্য করে ইসরায়েলের হামলা


প্রকাশিত:
৭ জুলাই ২০২৫ ১০:৩০

ছবি : সংগৃহীত

হুতিদের নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের তিনটি বন্দর এবং একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ সামাজিক মাধ্যমে এ হামলার কথা নিশ্চিত করেন। তিনি আরও বলেন, এই হামলা ছিল ‘অপারেশন ব্ল্যাক ফ্ল্যাগ’-এর অংশ। হুতিরা তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য ‘ভারী মূল্য’ দিতে থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দেন কাটজ।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, হুদায়দাহ, রাস ইসা ও সাইফ বন্দরে এবং ইয়েমেনের ইব ও তাইজ শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী রাস কানাতিব বিদ্যুৎকেন্দ্রে এ হামলা চালানো হয়। হামলার আগে স্থানীয়দের এলাকা ছাড়ার আহ্বান জানিয়ে তাৎক্ষণিক বিমান হামলার সতর্কতা দেয় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

এক্স-এ দেওয়া পোস্টে কাটজ বলেন, ‘ইয়েমেনের পরিণতি হবে তেহরানের মতোই। কেউ ইসরায়েলের ক্ষতি করার চেষ্টা করলে নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কেউ যদি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হাত তোলে, তার সেই হাত কেটে ফেলা হবে।’

ইসরায়েল কাটজ জানান, এই হামলার লক্ষ্যগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক জাহাজ ‘গ্যালাক্সি লিডার’ও ছিল। হুতি বিদ্রোহীরা ২০২৩ সালে জাহাজটি ছিনতাই করেছিল। আন্তর্জাতিক জলসীমায় চলাচলকারী জাহাজগুলো নজরদারির কাজে এই জাহাজটি ব্যবহার করা হচ্ছিল বলে দাবি ইসরায়েলের।

হামলার পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করে, ইয়েমেন থেকে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে এবং সেগুলো প্রতিহত করার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আটকাতে সফল হয়েছে কি না, তা এখনো পর্যালোচনার আওতায় রয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, হুতিরা দাবি করছে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইসরায়েলের হামলার মোকাবিলা করেছে এবং পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।

হুতি-নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হুদায়দাহ বন্দর লক্ষ্য করে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

এর আগেও ইসরায়েলের হামলার শিকার হয়েছিল হুদায়দাহ। গত মে ও জুন মাসে ইসরায়েলি নৌবাহিনী হুদায়দাহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত হানে। লক্ষাধিক ইয়েমেনির জন্য খাদ্য ও মানবিক সহায়তা প্রবেশের প্রধান কেন্দ্র হুদায়দাহ বন্দর। গত এক বছরে এই বন্দরটি বেশ কয়েকবার হামলার শিকার হয়েছে।

হামাসে ইসরায়েলের হামলার জবাবে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা গাজায় ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে নিয়মিতভাবে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে আসছে এবং লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালাচ্ছে।

ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর দাবি, ইয়েমেনে চালানো এই হামলা হুতিদের ‘বারবার হামলার জবাব’। এসব বন্দর ব্যবহার করে ইসরায়েল ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে ‘ইরানি শাসন থেকে অস্ত্র স্থানান্তর করে সন্ত্রাসী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন’ করা হচ্ছিল।