উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বিরোধ ‘মিটিয়ে ফেলবেন’, জানালেন ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধ মিটিয়ে ফেলবেন। গতকাল শুক্রবার ওভাল অফিসে বিশ্বজুড়ে সংঘাত নিরসনে তার চেষ্টার কথা বলতে গিয়ে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনকে কোনো চিঠি লিখেছেন কিনা, এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি সরাসরি কোনো জবাব দেননি। তার বদলে বলেছেন, “কিম জং উনের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল, বোঝাপড়া ছিল দারুণ। দেখা যাক কী হয়। কেউ কেউ বলছে সংঘাতের সম্ভাবনা রয়েছে, আমার মনে হয়, আমরা সেটার সমাধান করতে পারব। আর যদি কিছু হয়ও, তাতে আমাদের সম্পৃক্ততা থাকবে না।
চলতি মাসে উত্তর কোরিয়ার খোঁজখবর রাখা সিউলভিত্তিক ওয়েবসাইট এনকে নিউজ জানায়, কিমকে লেখা ট্রাম্পের একটি চিঠি গ্রহণে নিউ ইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘের উত্তর কোরীয় প্রতিনিধিরা বারবারই আপত্তি জানিয়েছেন।
২০১৭ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত, প্রথম যেবার ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট ছিলেন, সেসময় উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে তিনবার বৈঠক হয়েছিল। ট্রাম্প ও কিমের মধ্যে সেসময় একাধিক চিঠিও আদানপ্রদান হয়েছে, যেগুলোকে ট্রাম্প ‘চমৎকার’ অভিহিত করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র কিমকে পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ করতে বলার পর ওই নজিরবিহীন কূটনৈতিক সম্পর্ক ভেঙে পড়ে। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে ‘পারমাণবিক শক্তি’ হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছেন।
গত ১১ জুন হোয়াইট হাউজ জানায়, কিমের সঙ্গে ফের যোগাযোগ শুরু হলে ট্রাম্প তাকে স্বাগত জানাবেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট উত্তরের শীর্ষ নেতাকে কোনো চিঠি পাঠিয়েছে কিনা তা নিয়ে কিছু বলেনি তারা। ২০১৯ সালে ট্রাম্পের কূটনীতি ভেঙে পড়ার পর পিয়ংইয়ং আলোচনায় ফেরার ব্যাপারে আর কোনো ধরনের আগ্রহই দেখায়নি। উল্টো তারা তাদের পারমাণবিক অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে আরও বিস্তৃত করেছে এবং ইউক্রেইনে মস্কোর যুদ্ধকে সমর্থন দিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে মিত্রতা আরও জোরদার করেছে।
রাশিয়ার সমর্থনে উত্তর কোরিয়া এর মধ্যেই ইউক্রেইনে গোলাবারুদ ও অস্ত্রশস্ত্রের পাশাপাশি সৈন্যও পাঠিয়েছে।
