ঢাকা সোমবার, ২৫শে আগস্ট ২০২৫, ১১ই ভাদ্র ১৪৩২


বাংলাদেশ সুতা আমদানি বন্ধ করলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারতের চাষিরা


প্রকাশিত:
১৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:২৩

ভারত থেকে সুতা আমদানি বন্ধ করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল (১৫ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এর ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হবে পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের তুলা চাষিরা। ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ১২ লাখ ১৫ হাজার টন সুতা আমদানি করা হয়। গত বছর এই আমদানির পরিমাণ ছিল প্রায় ৩০০ কোটি ডলার।

বাংলাদেশে চাহিদা অনুযায়ী প্রায় ৯৫ শতাংশ সুতা ভারত থেকে আমদানি করা হয়। আর এই সুতা তৈরি হয় কার্পাস তুলা দিয়ে। এই তুলার বেশিরভাগই আসে পশ্চিমবঙ্গ থেকে।

স্থানীয় পোশাক রপ্তানিকারক গৌরাঙ্গ চন্দ্র মজুমদার বলেন, বাংলাদেশের পোশাকের চাহিদা পশ্চিমা বাজারে বেশি থাকায় ভারত থেকে সুতা আমদানি করেছে বাংলাদেশ। ফলে বাংলাদেশের পোশাক প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো সুতা কেনার জন্য সময় মতো রপ্তানি চালান সরবরাহ করতে ভারত থেকে সুতা আমদানির দিকে ঝুকেছিল। শিল্পের কাঁচামাল রপ্তানির জন্য ভারতের একটি বড় বাজার বাংলাদেশ।

গৌরাঙ্গ চন্দ্র মজুমদার আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে সুতা আমদানি করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের চাষিদের। বেশিরভাগ তুলা চাষিরা তুলা চাষ করে সুতা তৈরি করার জন্য। আর সেই সুতা বাংলাদেশে রপ্তানি না হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন চাষিরা। এবার তাদের বিকল্প কিছু ভাবতে হবে।

গৌরাঙ্গ চন্দ্র মজুমদার আরও জানান, ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতির ফলে কাঁচামালের একটা বড় বাজার হারাবে ভারত। আর এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হাজারো মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে।

আবার অন্য এক পোশাক প্রস্তুতকার কর্মকর্তা মানষ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, বাংলাদেশের গার্মেন্টসের সেক্টরে কাঁচামাল তথা সুতা ভারত থেকে পাঠানো হয়। কাঁচামাল অন্যান্য দেশ থেকে আনতে গেলে খরচ বেশি পড়বে বাংলাদেশের। ফলে প্রস্তুত হওয়া পোশাকের ও দাম অনেকাংশে বেড়ে যাবে। তাই দু’দেশের সম্পর্কে উন্নতি অবশ্যই থাকা উচিত। তাহলে দু’দেশের ব্যবসাই ভালো হবে।

মানষ চক্রবর্তী আরও জানান, সুতার পাশাপাশি ভারত থেকে আরও বেশ কিছু পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার। এসব পণ্য বাংলাদেশে আমদানি বন্ধ হলে ক্ষতি হবে ভারতেরই।