গাজার হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

গাজার মধ্যাঞ্চলে রাতভর ইসরায়েলি হামলার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে হাসপাতালেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় দখলদার বাহিনী। এর আগে বেনামি বার্তায় হামলার আগাম তথ্য জানিয়ে হাসপাতাল ভবন ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
দ্য টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, শনিবার (১২ এপ্রিল) রাত এবং রোববার (১৩ এপ্রিল) ভোরে হাসপাতালসহ বিভিন্ন এলাকা ও স্থাপনায় ব্যাপক হামলা হয়। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর একাধিক হামলায় দিগ্বিদিক ছুটতে থাকেন ফিলিস্তিনিরা।
এর আগে, নুসাইরাত এলাকার বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে ইসরায়েল লক্ষ্য করে রকেট ছোড়া হয়। এরপর দখলদার সেনাবাহিনী সেখানে হামলার জন্য কয়েকটি এলাকা চিহ্নিত করে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
হামলার শিকার আল-আহলি আরব ব্যাপটিস্ট হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দুটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হাসপাতাল কমপ্লেক্সের ভেতরে একটি ভবনে আঘাত হানে। ফলে জরুরি ও অভ্যর্থনা বিভাগ ধ্বংস হয়ে যায়। এ ছাড়া অন্যান্য কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
হামলার কিছুক্ষণ আগে একজন ব্যক্তি নিজেকে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে ফোন করেন। তিনি সবাইকে হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ার তাগিদ দেন। ফোনকলটি আমলে নিয়ে হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ভবন থেকে রোগীদের সরিয়ে নেন। গাজায় কাজ করা বেসামরিক জরুরি পরিষেবা সংস্থাগুলো এখনও কোনো হতাহতের খবর পায়নি।
সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসামরিক স্থানকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করার জন্য বারবার অভিযোগ করেছে ইসরায়েল। তবে এই হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া ইসরায়েলি আক্রমণে মোট ৫০৯৩৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১১৬০৪৫ জন। আর গত ১৮ মার্চ শুরু হওয়া নতুন দফার হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা ১৫৬০ জন। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বেশি। কারণ, অনেকের মরদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনারের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি জানান, গত ১৮ মার্চ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় আবাসিক ভবন ও শরণার্থীদের তাঁবুর ওপর ২২৪টি হামলার তথ্য নথিভুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের প্রমাণিত তথ্যানুসারে যেসব ৩৬টি হামলার বিশ্লেষণ করা হয়েছে, তাতে দেখা গেছে, সেখানে কেবল নারী ও শিশু নিহত হয়েছে।