ঢাকা রবিবার, ১০ই নভেম্বর ২০২৪, ২৭শে কার্তিক ১৪৩১


মণিপুরে বাড়ছে সহিংসতা, নারীসহ নিহত আরও ২


১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:৩৪

আপডেট:
১০ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৫৪

মণিপুরে বাড়ছে সহিংসতা, নারীসহ নিহত আরও ২

 

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যে সহিংসতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি ভবনে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এর মধ্যে সহিংসতায় নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন আরও দুজন। তাদের মধ্যে একজন নারীও রয়েছেন।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন করে সহিংসতায় কুকি-জো সম্প্রদায়ের একজন নারী এবং একজন সাবেক সৈনিক নিহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা সোমবার জানিয়েছেন। নিহত ওই নারীর নাম নেজাহোই লুংডিম এবং সাবেক ওই সৈন্যের নাম লিমখোলাল মেট। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর আসাম রেজিমেন্টের সাবেক হাবিলদার।

উভয়ই মণিপুরের কাংপোকপি জেলার বাসিন্দা এবং পৃথক ঘটনায় প্রাণ হারান। বেশ কয়েকটি সূত্র জানায়, কাংপোকপির থাংবুহ গ্রামের একটি গির্জার সামনে বোমার স্প্লিন্টারের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত লুংডিমের মরদেহ পাওয়া যায়।

রোববার গভীর রাতে ওই গ্রামের কাছে একটি সিআরপিএফ ক্যাম্পে হামলাকারীরা হামলা চালালে ওই নারী ক্রসফায়ারে পড়ে মারা যান বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

অন্যদিকে ইম্ফল পশ্চিম জেলার সেকমাই গ্রামে কাংপোকপির মটবুংয়ের বাসিন্দা লিমখোলাল মেটের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। তার মরদেহে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, রোববার গভীর রাতে তিনি ভুলবশত গ্রামে ঢুকে পড়েছিলেন।

এদিকে এই দুটি ঘটনার পর পার্বত্য জেলা কংপোকপি ও চুরাচাঁদপুরে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ইতোমধ্যে উপত্যকায় ছাত্ররা রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী অপসারণ এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের সুরক্ষার দাবিতে বিভিন্ন অংশে, বিশেষ করে থাউবাল এবং ইম্ফলে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।

অন্যদিকে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি ভবনে হামলা চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। সোমবার স্থানীয় সময় সকালের দিকে মণিপুরের রাজভবন ও জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে হামলা চালায় তারা। এ সময় ডিসি অফিসে টানানো পতাকা নামিয়ে সাতরঙা একটি পতাকা উড়ায় তারা।