ঢাকা শনিবার, ১৮ই মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


হার্টের ৩০ শতাংশ সক্ষমতা নিয়ে বেঁচে ছিলেন আইয়ুব বাচ্চু


১৮ অক্টোবর ২০১৮ ১৮:২৭

আপডেট:
১৮ মে ২০২৪ ১৫:০২

কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু হৃদযন্ত্রের ৩০ শতাংশ সক্ষমতা নিয়েই বেঁচেছিলেন জীবনের শেষ ক’টি বছর। এমনটাই জানিয়েছেন স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক। বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে তাকে মৃত অবস্থাতেই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিলো বলেই জানিয়েছেন হাসপাতাল পরিচালক ( মেডিকেল সার্ভিসেস) ড. মির্জা নাজিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, আইয়ুব বাচ্চুর হার্টের কার্যক্ষমতা ছিল ৩০ শতাংশ। নরমালি থাকে ৭০ শতাংশ। ওনার ছিল ৩০ শতাংশ। যার জন্য ওনি বার বার হাসপাতালে ভর্তি হতে হতো।

সকালে আইয়ুব বাচ্চুর হার্ট অ্যাটাক হলে তার গাড়ির চালক তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

নাজিম উদ্দিন জানান, গাড়ি চালক যখন তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন উনার মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছিলো। এর অর্থ হলো হার্টের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে মুখ দিয়ে পানির মত অর্থাৎ ফেনা বের হচ্ছিল। যেটাকে আমরা হার্টফেলও বলে থাকি।

হাসপাতালে আসতে আসতে রাস্তায়ই ওনি মারা যান, এমন মন্তব্য করে এই চিকিৎসক বলেন, আমাদের বিশেষ টিম যথেষ্ট চেষ্টা করেছে। কিন্তু তার আগেই ওনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে তার মৃত্যু ঘোষণা করি।

ড. মির্জা নাজিম উদ্দিন আরও বলেন, তিনি বহুদিন হৃদরোগে ভুগছিলেন । দুই সপ্তাহ আগেও তিনি চেকআপ করিয়ে গেছেন। এর আগে ২০০৯ সালে তার হার্টে রিং পড়ানো হয়।

এর আগেও ২০১২ সালে ফুসফুসে পানি জমার কারণে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল আইয়ুব বাচ্চুকে।