ঢাকা সোমবার, ১২ই মে ২০২৫, ৩০শে বৈশাখ ১৪৩২


স্বপ্নের পুষ্পধারা এখন বাস্তব রূপ নিচ্ছে


৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:১৩

আপডেট:
১২ মে ২০২৫ ১৬:৩৯

বদলে যাচ্ছে ঢাকার চিরচেনা ভূগোল। ঢাকা মানে এখন গুলশান-বনানীর আলোর ঝলকানি শুধু নয়। ঢাকার সীমানা এখন যাত্রাবাড়ী থেকে আব্দুল্লাহপুর, কিংবা পুরান ঢাকা থেকে গুলশানের সীমানায় আবদ্ধ নয়। এখন ঢাকা মানে চাকচিক্যময় জীবনের সীমানা ছাড়িয়ে সবুজের হাতছানিও বটে। এটি এক স্বপ্নের নগরী, যেখানে প্রতিদিন বোনা হচ্ছে নতুন নতুন স্বপ্নের জাল।

ঢাকা যেন এক মায়াবি জাদুর শহর। এই শহরে একবার এলে সেখান থেকে ফিরে যাওয়ার সাধ জাগে না। জাদুর শহরের মায়াবি আবেশ জড়িয়ে থাকে সারাক্ষণ।

সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে ঢাকার জনসংখ্যা, তেমনি দিনদিন প্রসারিত হচ্ছে ঢাকার সীমানাও। উত্তরে গাজীপুর, পূর্বে নারায়ণগঞ্জ আর পশ্চিমে সাভার ছাড়িয়ে মানিকগঞ্জ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ছে ঢাকার মানচিত্র।

ঢাকা শহর অপরিকল্পিত নগরায়ণের চাপে বেড়ে উঠলেও, এই শহরের গৌরবের আসল গল্পটি দক্ষিণে-পোস্তগোলা থেকে মাওয়া ঘাটের পথে। রূপকথার গল্পের মতো একদিন পদ্মা সেতু গর্বভরে দাঁড়াল বিশ্বের বুকে, ঢাকার সঙ্গে যুক্ত হলো দক্ষিণ এশিয়ার মনোমুগ্ধকর ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে। দক্ষিণ বাংলার ২১ জেলার অর্থনীতির নতুন কেন্দ্রবিন্দু এখন এই স্বপ্নের সেতু আর এক্সপ্রেসওয়ে।

রাজধানী ছেড়ে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে গড়ে উঠেছে পুষ্পধারার প্রকল্প। প্রকল্পর কাছে থাকছে- ডিওএইচএস, রাজউকের ঝিলমিল আবাসন প্রকল্প, ফকিরাপুল-আরামবাগ ১৩ কি. মি. ঝিলমিল ফ্লাইওভার, পাসপোর্ট অফিস, র‍্যাব-১০ হেড কোয়ার্টার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় ক্যাম্পাস, কেন্দ্রীয় কারাগার, ওয়াসা বুস্টার পাম্পিং স্টেশন, ঢাকা-কুয়ালালামপুর ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল, আন্তর্জাতিক মানের শপিংমল, আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র-২, আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট, সাউথবাংলা বাস টার্মিনাল, পাওয়ার প্ল্যান্ট, জাতীয় ক্রীড়া কমপ্লেক্স, পদ্মাভিউ স্টেডিয়াম, সাফারি পার্ক, অলিম্পিক ভিলেজ প্রভৃতি। পুষ্পধারা প্রকল্পের আশেপাশে হয়ে উঠবে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন মাত্রা।

পুষ্পধারা প্রকল্পে আছে একাধিক সেক্টর। থাকছে ভিআইপি এবং ডুপ্লেক্স জোন। প্রকল্পের অভ্যন্তরে থাকবে যথাক্রমে ১০০ ফিট, ৬০ ফিট, ৫০ ফিট, ৪০ ফিট এবং ৩০ ফিটের রোডসহ প্রতিটি প্লটের সামনে থাকবে সুপ্রশস্ত রোডের ব্যবস্থা।

এছাড়াও নাগরিক চাহিদা ও আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে পুষ্পধারা এলাকায় তৈরি হবে বিশ্বমানের মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান, খেলার মাঠ, কাঁচা বাজার, শপিং কমপ্লেক্স, থ্রি-ডি সিনেমা হল, কনভেনশন সেন্টারসহ অনেক কিছু।

পুষ্পধারা বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত। জাতীয় গৃহায়ন নীতিমালা মেনে পুষ্পধারা একে একে লাভ করেছে স্থানীয় সরকার কর্তৃক অবস্থানগত ছাড়পত্র, পরিবেশ অধিদপ্তর মুন্সিগঞ্জ কর্তৃক অনাপত্তিপত্র, পানি উন্নয়ন বোর্ড-এর অনাপত্তি, কৃষি অধিদপ্তর মুন্সিগঞ্জ কর্তৃক অনাপত্তি এবং উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক অনাপত্তি। ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক ভূতাপেক্ষ অনুমোদনের পর জেলা প্রশাসনও ভূতাপেক্ষ অনুমোদন দিয়েছে পুষ্পধারাকে। এছাড়াও পুষ্পধারা বাংলাদেশ ল্যান্ড ডেভেলপার অ্যাসোসিয়েশনের মেম্বার।

এখানে এক টুকরো জমি মানে শুধুমাত্র ভূমির মালিকানা নয়, এটি আপনার এবং আপনার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ এবং সুরক্ষিত বিনিয়োগের অনন্য এক সুযোগ।

বুকিং মানি এবং কাঠা প্রতি কিস্তিতে আপনিও হতে পারেন একাধিক প্লটের গর্বিত মালিক। এককালীন সাব কবলা ক্রয় করে সঙ্গে সঙ্গে বুঝে নিতে পারেন দলিল। পুষ্পধারা আপনার স্বপ্ন ও সম্ভাবনার কথা বলে। সেই সঙ্গে নিশ্চয়তা দিচ্ছে সুরক্ষিত এবং নিরাপদ বিনিয়োগের।
এক কথায় আধুনিক জীবন মানেই পুষ্পধারা। তাই তো পুষ্পধারা আপনাকে নিয়ে যাচ্ছে স্বপ্ন পূরণের পথে, স্বপ্নের আবাসনের পথে। স্বপ্নের পুষ্পধারা এখন বাস্তব রূপ নিচ্ছে।


আবাসন, পুষ্পধারা প্রপার্টিজ লি., পুষ্প ইকো সিটি, পুষ্প হোমস লি., অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান, শাশ্বত মনির